গ্লাসগো: এবারের ইউরো কাপের পরতে পরতে নাটক। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ ম্যাচও ব্যতিক্রম হল না। ১০ জনের সুইডেনকে অতিরিক্ত সময়ের শেষমুহূর্তের গোলে হারিয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ইউক্রেন। এবার তারা কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। 


এদিন শুরু থেকেই সুইডেনকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয় ইউক্রেন। ২৭ মিনিটে অলেকজান্ডার জিনচেঙ্কোর গোলে এগিয়ে যায় তারা। ইয়ারমলেঙ্কোর ক্রস থেকে জোরাল ভলিতে গোল করেন ইউক্রেনের লেফট ব্যাক জিনচেঙ্কো। গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে অবশ্য ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে সুইডিশরা। ৪৩ মিনিটে গোল শোধ করে দেন সুইডেনের অধিনায়ক এমিল ফর্সবার্গ। ২৫ গজ দূর থেকে শটে গোল করেন তিনি।


প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের খেলাও গোলশূন্য থাকে। তবে এই অর্ধ ছিল ঘটনাবহুল। ৫৫ ও ৫৬ মিনিটে পরপর দু’দলের দু’টি শট পোস্টে লাগে। প্রথমে ইউক্রেনের সিডরচাকের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। পরের মিনিটেই সুইডেনের পালা। এবার ফর্সবার্গের শট পোস্টে লাগে। ৬০ মিনিটে সুইডেনের আলেকজান্ডার আইজ্যাক সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। একা গোলকিপারকে পেয়েও তিনি ঠিকমতো শট নিতে ব্যর্থ হন। এই সুযোগ নষ্ট না হলে হয়তো ম্যাচের ফল অন্যরকম হত।


৬৯ মিনিটে ফর্সবার্গের শট আবার বারে লাগে। লেফট উইং থেকে কাট করে বক্সে ঢুকে বিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে তিনি অসাধারণ শট নিয়েছিলেন। কিন্তু বলটি বারে লেগে ফিরে আসে। ফলে নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে শেষ হয়।


অতিরিক্ত সময়ের খেলা শুরু হওয়ার পর দু’দলই লড়াই চালাচ্ছিল। তবে সুইডেনের আক্রমণই বেশি ছিল। এরই মধ্যে ৯৯ মিনিটে মার্কাস ড্যানিয়েলসন একটি বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে বিপজ্জনকভাবে পা চালিয়ে লালকার্ড দেখায় ১০ জনে হয়ে যায় সুইডেন। ড্যানিয়েলসন বলেই শট নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর পা গিয়ে লাগে ইউক্রেনের আর্টেম বেসিডিনের সিনবোনে। রেফারি প্রথমে হলুদ কার্ড দেখালেও, পরে ভিডিও দেখে লাল কার্ডের সিদ্ধান্ত নেন।


সুইডেন ১০ জনে হয়ে যাওয়ার পরেও ভালই খেলছিল। ইউক্রেনের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল না তারা ১১ জনে খেলছে। খেলা টাইব্রেকারে গড়াবে বলেই সবাই ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময়েই ফের নাটকীয় মোড় নেয় ম্যাচ। ১২০ মিনিটে লেফট উইং থেকে বক্সে ক্রস ভাসান জিনচেঙ্কো। জোরাল হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন আর্টেম ডভবিক। এরপর আর সুইডেনের পক্ষে খেলায় সমতা ফেরানো সম্ভব ছিল না।