নয়াদিল্লি: হালাল পদ্ধতিতে প্রাণীহত্যায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল ‘অখন্ড ভারত মোর্চা’ নামে একটি সংগঠন। জন্তু-জানোয়ারের প্রতি নিষ্ঠুরতা রোধ আইনের ২৮ অনুচ্ছেদকে চ্যালেঞ্জ করে তারা। কিন্তু মুসলিমদের পালন করা হালাল পদ্ধতিতে প্রাণী হত্যা বন্ধ করার পিটিশনটি খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ, বলেছে, মানুষের খাদ্যাভাসে তারা হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বেঞ্চের আরেক সদস্য বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী। বেঞ্চ বলেছে, আদালত ঠিক করে দিতে পারে না কে আমিষ খাবে, কে নিরামিষাশী হবে। যারা হালাল মাংস ভালবাসে, তারা হালাল মাংস খেতে পারে। যারা ঝটকা মাংস খেতে চায়, তারা ঝটকা মাংস খেতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনও ধর্মীয় গোষ্ঠী যেভাবে প্রাণীহত্যা করতে চায়, সেটা সংশ্লিষ্ট আইনে অপরাধ বলে গণ্য হয় না। হালাল সহ নানা পদ্ধতিতে প্রাণীহত্যা চলে। হালাল পদ্ধতিতে প্রাণীর ঘাড়ের শিরা কেটে দেওয়া হয়। তার ফলে রক্তপাতের ফলে সংশ্লিষ্ট প্রাণীর মৃত্যু হয়। আর ঝটকা পদ্ধতিতে অস্ত্রের এক কোপে প্রাণীর মাথা কেটে সঙ্গে সঙ্গে মেরে ফেলা হয়। এহেন সব পদ্ধতিই ২৮ অনুচ্ছেদে বৈধ।
হালাল অনুসরণ করে মুসলিমরা, ঝটকা প্রথা মানে হিন্দুরা।
‘অখন্ড ভারত মোর্চা’ পিটিশনে সওয়াল করেছিল, হালাল প্রচণ্ড যন্ত্রাণাদায়ক। হালালের নামে অমানবিক জন্তু হত্যার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। পিটিশনে আরও বলা হয়, ঝটকা পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট প্রাণীর সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় বলে সে কষ্ট, যন্ত্রণা পায় না। আর হালাল পদ্ধতিতে যন্ত্রণা সহ্য করে মরতে হয় তাকে।
তবে বেঞ্চ এহেন পিটিশনের অভিপ্রায় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে পিটিশনটি বিবেচনা করতে অস্বীকার করে। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, আপনার পিটিশনে কুঅভিসন্ধি আছে।