নয়াদিল্লি: আন্দোলনকারী কৃষকদের গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনায় জামিন পেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্র (Ashish Mishra)। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। আপাতত আট সপ্তাহ, অর্থাৎ দুই মাসের অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন আশিস। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে আন্দোলনকারী কৃষকদের গাড়িচাপা দেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে (Lakhimpur Kheri)।


জামিন পেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্র


বুধবার শর্তসাপেক্ষে আশিসের জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। তার আওতায়, জামিনে বাইরে থাকাকালীন, তিনি কখন, কোথায় রয়েছেন, তা আদালতকে জানাতে হবে তাঁকে। আশিস বা তাঁর পরিবারের কেউ সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে বা বয়ান বদলে জোর দিলে অথবা শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে, তাঁর জামিন খারিজ হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছে আদালত। জামিনে থাকাকালীন উত্তরপ্রদেশ বা দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় থাকতে পারবেন না আশিস।


কেন্দ্রীয় সরকারের বিতর্কিত কৃষি আইন, পরে যা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়, তার বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালীন, ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরির টিকুনিয়ায় বিক্ষোভরত কৃষকদের গাড়িচাপা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আশিসের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যর সফর চলাকালীন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কৃষকরা। সেই সময়ই দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা গাড়ি পিছন থেকে তাঁদের চাপা দেয়।


আরও পড়ুন: Viral News: শিকারে বেরিয়ে চরম পরিণতি, পোষ্যর ছোড়া গুলিতে নিহত মনিব


উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে দায়ের এফআইআর অনুযায়ী, যে এসইউভি গাড়িতে বসেছিলেন আশিস, তা চার জন কৃষককে পিষে দেয়। ঘটনার পর গাড়ির চালক এবং গাড়িতে থাকা দুই বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ বেধে যায়। ওই সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মারা যায় এক সাংবাদিকও। এর আগে, ২০২১ সালের ২৬ জুলাই আশিসের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।


যে এসইউভি গাড়িতে বসেছিলেন আশিস, তা চার জন কৃষককে পিষে দেয়


কিন্তু হাইকোর্টের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান আশিস। তার শুনানি চলাকালীন গত ১৯ জানুয়ারিই শীর্ষ আদালত জানায় যে, দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলে রেখে দেওোয়া অনুচিত। লখিমপুর খেরির ঘটনায় আশিস ছাড়া আরও ১২ জন অভিযুক্তের নাম রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা সংক্রান্ত ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ (বেআইনি জমায়েত), ৩০২ (খুন), ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৩২৬ (ইচ্ছাকৃত ভাবে ক্ষতিসাধন), ৪২৭ (অনিষ্ট), ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের শাস্তি) এবং মোটরযান আইনের ১৭৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। ওউ ১২ জন জেলেই রয়েছেন।