কলকাতা: গত ডিসেম্বর মাসে কুং ফু উসু এসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া আয়োজন করেছিল জাতীয় পর্যায়ের ১৯ তম ন্যাশনাল কুং ফু উ সু চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলার প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল শাওলিন কুং ফু উসু এসোসিয়েশন এর চিফ টেকনিকাল ডাইরেক্টর শ্রী রূপম রায় এর নেতৃত্বে। দুদিন ধরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে বিভিন্ন বিভাগে - লাঠি, তরোয়াল, কুস্তি, বক্সিং, নান চাকু ইত্যাদি। অবশেষে অন্যান্য বছরের সাফল্যকে ছাপিয়ে গিয়ে এবারে ওয়েস্ট বেঙ্গল শাওলিন কুং ফু উসু এসোসিয়েশন এর ছাত্র ছাত্রীরা ন্যাশনালে পশ্চিম বাংলার মুখ উজ্জ্বল করে অসাধারণ সাফল্য নিয়ে এল। ১৯ তম ন্যাশনাল কুং ফু উ সু চ্যাম্পিয়নশিপের সবকটি বিভাগ মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ঝুলিতে এবার মোট আসল ১৪ টি গোল্ড, ৫ টি সিলভার এবং ১৮ টি ব্রোঞ্জ। পদকপ্রাপ্তির বিচারে  রাজ্যগুলির মধ্যেও পশ্চিম বাংলার স্থান দ্বিতীয়। 


ওয়েস্ট বেঙ্গল শাওলিন কুং ফু উসু এসোসিয়েশন এর চিফ টেকনিকাল ডাইরেক্টর শ্রী রূপম রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, "জাতীয় পর্যায়ে আমাদের রাজ্যের সাফল্য নতুন নয়, তবে যেভাবে এবছর আমাদের ছেলে মেয়েরা সমষ্টিগত ভাবে অসাধারণ পারফরমেন্স দেখিয়েছে, আমরা খুবই আশাবাদী যে আমাদের ছেলে মেয়েরা এবার আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সাফল্য এনে বাংলার মুখ আরো উজ্জ্বল করবে।" ক্রিকেট বা ফুটবলের মতো জনপ্রিয় না হয়েও কুং ফু উসু তে এরকম সাফল্যের পিছনের কারণ জানতে চাইলে শ্রী রায় বলেন, "এটা ঠিক যে আমাদের রাজ্যে ক্রিকেট বা ফুটবল যতটা জনপ্রিয় ততটা হয়তো কুং ফু উসু নয়। বিশেষ করে আমাদের এই অসাধারণ সাফল্যের পিছনে যে সমস্ত প্রতিভাবান ছেলে মেয়েরা আছেন, তারা সবাই যে আর্থিক ভাবে সচ্ছল, সেরকম নয়। কিন্তু কঠোর অনুশীলন, দুর্লভ প্রতিভা, একাগ্রতা আর অসামান্য মানসিক জোরের উপর ভর করেই তারা ভারত জয় করেছে। আর এটাও আমাদের কাছে খুব গর্বের বিষয় যে ছেলেদের সাথে সাথে মেয়েদের সাফল্যের তালিকাটাও ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে।"


কসবায় ছোট্ট ক্লাব থেকে রূপম রায় যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, প্রায় হারিয়ে যাওয়া শাওলিন কুং ফু উসু কে বিশ্ব দরবারে নিয়ে যাবেন এই বাংলা থেকে, সেই স্বপ্নের প্রথম ধাপ অসামান্য সাফল্যের সাথে পেরনোর পর এখন তার মন্ত্র একটাই "মাইলস টু গো বিফোর আই স্লীপ"। 


নোট: এটি একটি ফিচারড আর্টিকল। এবিপি নেটওয়ার্ক প্রাইভেট লিমিটেড বা এবিপি লাইভ এই নিবন্ধ বা এ সম্পর্কে কোনও ধারণাকে অনুমোদন করে না বা সম্মতি দেয় না।