নয়াদিল্লি: পর পর তিন বার মেয়াদবৃদ্ধি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট প্রধানের। সেই সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। পর পর তিন বার ED-র ডিরেক্টরেট হিসেবে কার্যকালের মেয়াদ বেড়েছে সঞ্জয়কুমার মিশ্রের। সেই নিয়ে শুনানিতেই নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। তবে মেয়াদবৃদ্ধিকে 'অবৈধ' ঘোষণা করলেও, ৩১ জুলাই পর্যন্ত সঞ্জয়কে কার্যকাল চালিয়ে যাওয়ায় অনুমতি দেওয়া হয়েছে। (Sanjay Mishra ED Extension)


মঙ্গলবার বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সঞ্জয় করোলের বেঞ্চ এই রায় শুনিয়েছে। তাঁর কার্যকালের মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে ফাইনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (FATF) পর্যবেক্ষণও খতিয়ে দেখেন বিচারপতিরা। তার পরই সঞ্জয়কে প্রদত্ত বিশেষ সুযোগকে 'অবৈধ' ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত। তবে দায়িত্ব সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয় যাতে, তার জন্য ৩১ জুলাই পর্যন্ত সঞ্জয়কে পদে অধিষ্ঠিত থাকায় অনুমোদন দিয়েছে। 


সঞ্জয়ের মেয়াদবৃদ্ধিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে একটি আবেদন জমা পড়েছিল। মঙ্গলবার তার শুনানিতেই এই মন্তব্য করে শীর্ষ আদালত। যদিও মে মাসেই এমন ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল তারা। বিশেষ পরিস্থিতিতে কোনও আধিকারিকের মেয়াদবৃদ্ধি করা যেতে পারে বলে ২০২১ সালে যে রায় দিয়েছিল তারা, তা আরও একবার বিবেচনা করে দেখার কথা জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। তার আগে গতবছর ডিসেম্বরে এ নিয়ে কেন্দ্রের কাছে জবাবও চাওয়া হয়।


আরও পড়ুন: Abrogation of Article 370: ৩৭০ প্রত্যাহার, জম্মু ও কাশ্মীরকে দু’টুকরো করার সিদ্ধান্ত কি বৈধ? ২ অগস্ট থেকে শুনানি সুপ্রিম কোর্টে


গত বছর নভেম্বর মাসে তৃতীয় বারের জন্য সঞ্জয়ের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। অবসরের ঠিক একদিন আগে আরও একবছরের জন্য মেয়াদবৃদ্ধি করা হয় তাঁর। ততদিনে ED প্রধান হিসেবে সবমিলিয়ে পাঁচ বছর পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল সঞ্জয়ের। 


২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর, দু'বছরের মেয়াদে ED-র ডিরেক্টর নিযুক্ত হন সঞ্জয়। তার পর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিক একদিন আগে, ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর মেয়াদবৃদ্ধি করা হয়। আগের নির্দেশে সংশোধন ঘটিয়ে আরও তিন বছরের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় তাঁর।  তাতে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি। ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি এল নাগেশ্বরের বেঞ্চ দু'বছরের বেশি সময়ের জন্য মেয়াদবৃদ্ধিতে ছাড়পত্র দিলেও, বিশেষ পরিস্থিতিতে ছাড়া এভাবে মেয়াদবৃদ্ধি করা যেতে পারে না বলে জানিয়ে দেয় আদালত।