নয়াদিল্লি: চিকিৎসক অসুখ বুঝেই ওষুধ (drug) লিখছেন তো? নাকি ওষুধ দেওয়ার কারণ অন্য কিছু? জ্বরের (fever) ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত 'ডলো ৬৫০' নিয়ে এখন এমন বিতর্কই (controversy) তুঙ্গে। সুপ্রিম কোর্টে মামলাও চলছে। তার মধ্যে নতুন দাবি মামলাকারী পক্ষের। ডাক্তাররা যাতে 'ডলো ৬৫০'-র (dolo 650) কথা প্রেসক্রিপশনে লেখেন, সে জন্য অন্তত হাজার কোটি টাকা 'ইনসেনটিভ' (incentive) খাতে বিনিয়োগ করেছিল ওই ওষুধ নির্মাতা সংস্থা। বিষয়টি নিয়ে তুমুল হইচই পড়ে যায় এদিন। বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি বোপান্নাও এই ধরনের প্রবণতাকে 'গুরুতর বিষয়' বলে উল্লেখ করে ১০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রকে জবাব দিতে বলেছে।
কী হয়েছে?
সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি দায়ের করেছে 'Federation of Medical & Sales Representatives Association of India'। তাদের তরফে বর্ষীয়ান আইনজীবী সঞ্জয় পারিখ এদিন বলেন, 'ডাক্তারদের ইনসেনটিভ হিসেবে মোট ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল ডলো। প্রেসক্রিপশনে যাতে তাঁরা এই ওষুধটির কথা লেখেন, সেটার জন্যই এত বড় অঙ্কের বিনিয়োগ।' ফেডারেশনের আবেদনে বলা হয়, এই ধরনের প্রবণতা যে শুধু একটি নির্দিষ্ট ওষুধ প্রয়োগের ঝোঁক বিপজ্জনকভাবে বাড়াতে পারে তা-ই নয়, রোগীর স্বাস্থ্যও বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে। বিষয়টির আরও কুফল রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় আবেদনে। মামলাকারীদের বক্তব্য, এর ফলে সংশ্লিষ্ট ওষুধের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সবটা শুনে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, 'এ তো কোনও শ্রুতিমধুর গান নয়। আমার যখন কোভিড হয়েছিল, তখন আমাকেও এই ওষুধটি দেওয়া হয়। অত্যন্ত গুরুতর বিষয় এটি।'
সিবিডিটি-র অভিযান...
গোটা ঘটনাটি নিয়ে হইচই শুরু হয় সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস বা সিবিডিটি-র অভিযানের পর। ৯টি রাজ্যের মোট ৩৬ জায়গায় অভিযান চালিয়েছেন সিবিডিটি আধিকারিকরা। তাঁদের মূল অভিযোগ ছিল, বেঙ্গালুরু-কেন্দ্রিক ওষুধ নির্মাতা সংস্থা মাইক্রো-ল্যাবস অন্তত ৩০০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যবসার জন্য অনৈতিক পথ নেওয়ারও অভিযোগ তোলেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে আগেই কেন্দ্রের জবাব চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এখনও তা জমা পড়েনি। এদিন কেন্দ্রের তরফে আইনজীবী জানান, উত্তর প্রায় তৈরি। তার পরই আরও দশ দিন সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শীর্ষ আদালত। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। যদিও মামলাকারী পক্ষের আর্জি, ডাক্তারদের ইনসেনটিভ দিয়ে ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লেখানোর পথ নিলে ওষুধ নির্মাতা সংস্থাগুলি যাতে সে ব্যাপারে দায়বদ্ধ থাকে, তা যেন সুনিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুন:মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্রত্যাগ, সস্ত্রীক আত্মসমর্পণ KLO নেতা কৈলাসের