কলকাতা: ম্যাচ পরিচালনা করার দায়িত্ব বর্তাবে তাঁদের ওপর। যে কারণে আগ্রহীদের দক্ষতা যাচাই করে নিতে পরীক্ষার আয়োজন করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। আর সেই পরীক্ষায় কি না ১৪০ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ মোটে তিন! বাকি ১৩৭ জনই ব্যর্থ!


এই ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আম্পায়ারদের লেভেল-২ পরীক্ষার আয়োজন করেছিল বোর্ড। গত মাসে বোর্ডের তরফে এই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। এতে পাস করা মানে মহিলা ও জুনিয়র স্তরের গ্রুপ ডি ম্যাচ পরিচালনা করার সুযোগ প্রাপ্তি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এলিট আম্পায়ারের তালিকায় ঢোকার প্রথম ধাপও। পাস করতে হলে ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৯০ পাওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। সেখানেই মাত্র তিনজন পাসমার্ক পেরতে পেরেছেন। বাকি ১৩৭ জনই ফেল!


বোর্ড সূত্রে খবর, মোট ২০০ নম্বরের মধ্যে ১১০ নম্বর লিখিত, ৩৫ নম্বরের মৌখিক এবং ভিডিও এবং ৩০ নম্বরের শারীরিক পরীক্ষা ছিল। মৌখিক ও শারীরিক পরীক্ষায় উতরে গেলেও লিখিত পর্বে বোর্ডের কঠিন প্রশ্নপত্রে আটকে গেলেন অধিকাংশ পরীক্ষার্থী।


কারও কারও মতে, লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র দেখে নাকি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। কেন? কারণ প্রশ্নপত্রে জানতে চাওয়া হয়েছিল, প্যাভিলিয়ন, গাছ অথবা ফিল্ডারের ছায়া পড়ছে পিচে। ব্যাটাররা এই নিয়ে অভিযোগ জানালে কী করা উচিত। এছাড়া জানতে চাওয়া হয়েছিল, বোলারের তর্জমায় চোট লেগেছে। হাতের টেপ খুললে রক্ত ঝরবে। তা সত্ত্বেও বোলারকে আঙুলের টেপ খুলে বল করতে বলা হবে কি না। এরকমই বিচিত্র সমস্ত প্রশ্ন ছিল পরীক্ষায়।


মোট ১৪০ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পাস করলেন মাত্র তিনজন। এই প্রথম আম্পায়ারদের পরীক্ষায় শারীরিক সক্ষমতার পর্ব রাখা হয়েছিল। বর্তমানে আম্পায়ারদেরও শারীরিকভাবে ফিট থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তাই এই আয়োজন বলেই বোর্ড সূত্রের খবর। তবে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় সকলেই উতরে গিয়েছেন বলেই সূত্রের খবর। সমস্যা তৈরি হয়েছে লিখিত পরীক্ষায়। 


এমন কঠিন প্রশ্নপত্র কেন? বোর্ডের তরফে এক কর্তা জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীদের উপস্থিত বুদ্ধি যাচাই করার পরিকল্পনা থেকেই এই প্রশ্নপত্র। আম্পায়ারিং শুধু ক্রিকেটীয় নিয়ম কানুন জানা নয়, ম্যাচে পরিস্থিতি অনুযায়ী তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আম্পায়ারের কাজ তাই বেশ কঠিন বলেই মনে করা হয়। গুণগত মানের সঙ্গে আপোস করতে রাজি নয় বিসিসিআই। বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় স্তরের ম্যাচে আম্পায়ারিং করতে হলে ভুল করার কোনও জায়গা নেই। রাজ্য সংস্থা থেকে যে আম্পায়ারদের পাঠানো হয়েছে তাঁরা অধিকাংশই পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। খেলার নিয়ম কানুন সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব রয়েছে বলেই এরকম হতাশাজনক ফল বলে জানিয়েছেন ওই বোর্ড কর্তা।


আরও পড়ুন: 'কেকেআর রিটেন না করাই খুশিই হয়েছি', প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক গিল