নয়াদিল্লি: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনে মুক্তির নির্দেশে দিল্লি হাইকোর্ট যে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে, তাতে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'হাইকোর্ট যখন নিজেদের রায় রিজার্ভ রেখেছে, তখন হস্তক্ষেপ করা উচিত হবে না। আমরা পরশু এই আবেদনের শুনানি করব।'
বিশদ...
এদিন, শীর্ষ আদালতে, এই আবেদনের শুনানি শুরু হলে, কেজরিওয়ালের আইনজীবীরা সওয়াল করেন, আপ নেতা যে জেলে থাকবেন, তার পক্ষে যথেষ্ট কোনও কারণ নেই। বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সঙ্গে এও বলেন, 'যদি জামিন প্রত্যাহার করা হয়, তা হলে উনি ফের জেলে ফিরে যাবেন...সুপ্রিম কোর্ট ওঁকে অন্তর্বর্তী মুক্তির নির্দেশ দেওয়ার পর ঠিক যেমন করেছিলেন, সেই ভাবেই করবেন।' সুপ্রিম কোর্ট যে সে বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জি মঞ্জুরের সময় তাঁর 'দাগি অপরাধী' বা 'ফেরার হওয়ার আশঙ্কা'-র বিষয়টিও নস্যাতে সিলমোহর দিয়েছিল, সে কথাও মনে করান সিঙ্ঘভি। শীর্ষ আদালতের কাছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে আইনজীবীর সওয়াল ছিল, 'আমি কেন অন্তর্বর্তী জামিন পাব না? অতীতেও তো আমার পক্ষে একটি রায় গিয়েছে।' কিন্তু শীর্ষ আদালত আপ নেতাকে আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বলেছে। বিচারপতিরা বলেন, 'আমরা এখন কোনও অর্ডার দিলে তাতে আগেভাগে বিষয়টির গতিবিধি নির্ধারণ করা হয়ে যেতে পারে...এটি কিন্তু নিম্ন আদালত নয়।'
আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সম্ভবত পূর্ণ রায় দিতে পারে দিল্লি হাইকোর্ট। আর পরশু শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। দিল্লি হাইকোর্টের সেই রায়ের আগে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সত্বর মুক্তির আর্জি নিয়ে রায় দিতে চায়নি শীর্ষ আদালত। তবে একই সঙ্গে জানিয়েছে, নিম্ন আদালতের রায় এবং সেই রায়ের যুক্তি বিশ্লেষণ না করে জামিনে 'স্টে' দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি।
প্রেক্ষাপট...
গত ২১ জুন জানা যায়, রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে জামিন পেলেও মুক্তি পাচ্ছেন না কেজরিওয়াল । দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের বিরোধিতায় দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি । হাইকোর্টে এ নিয়ে শুনানি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ছাড়া পাবেন না অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নিম্ন আদালতে তাদের আবেদন শোনেননি, দিল্লি হাইকোর্টে দেওয়া আর্জিতে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। আবগারি নীতি মামলায় অনিয়মের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আপ নেতাকে।
আরও পড়ুন:আজ দিনভর মেঘলা আকাশে কতটা বৃষ্টির সম্ভাবনা মহানগরে? ছাতা কি লাগবে?