নয়া দিল্লি: দূষণ (Pollution) রোধ করতে এবার বাজি (Firecrackers) পোড়ানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুধুমাত্র দিল্লি (Delhi) নয়, দূষণ রোধে গোটা দেশেই বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ, এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, যে বাজিগুলিতে বেরিয়াম রয়েছে সেই গুলিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সব রাজ্যের ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর রাসায়নিক বেরিয়াম এবং নিষিদ্ধ অন্যান্য রাসায়নিকযুক্ত বাজি ব্যবহারে আগের নির্দেশ বহাল থাকবে।
হাতে আর কয়েক দিন। দীপাবলির আগে সেজে উঠছে দেশের নানা প্রান্ত। আলোর পাশাপাশি বাজির রকমারিতেও উদযাপন চলে জোর কদমে। কিন্তু বাতাসে যেভাবে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই প্রেক্ষাপট বিচার করেই এবার বাজি ক্রয়-বিক্রিয় এবং বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল দেশের শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল যে, রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দীপাবলী এবং অন্যান্য উৎসবগুলিতে শুধুমাত্র 'গ্রিন বাজি' পোড়ানো যাবে। যেগুলিতে আলো, শব্দ এবং ক্ষতিকর রাসায়ানিক উপাদান কম থাকে।
বাতাসে দূষণের মাত্রা প্রতিবারই উদ্বেগ প্রকাশ করে থাকেন পরিবেশবিদরা। তবে এবারে পরিস্থিতি আক্ষরিক অর্থেই উদ্বেগজনক। দূষণগ্রাসে রীতিমতো জেরবার দিল্লি। বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে রাজধানীর বায়ু দূষণ, এমনটাই জানান হয়েছিল। দিল্লি ও এনসিআরে অপ্রয়োজনীয় নির্মাণ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি বন্ধ করা হয় স্কুল-কলেজের নিয়মিত পাঠক্রমও।
এদিকে রাজধানীর পাশাপাশি কলকাতা, মুম্বইয়ের মতো বড় শহরেও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। নভেম্বরের শুরু থেকেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছিল বায়ুদূষণের মাত্রা।
উল্লেখ্য, ২০২১-এর ২৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমআর শাহ ও বিচারপতি এ এস বোপান্নার ডিভিশন বেঞ্চ বাজি নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছিল। শুধুমাত্র সবুজ বাজি বা গ্রিন ক্র্যাকার ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছিল। সমস্ত রাজ্যের সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে সেই নির্দশ মেনে চলার কথা বলা হয়েছিল। বেরিয়াম সল্ট ব্যবহার করা হয় এমন বাজিকে নিষিদ্ধ করা নির্দেশ ছিল।
আরও পড়ুন, দীপাবলির আগে কেন্দ্রের উপহার, বাংলা-সহ ২৮ রাজ্যের জন্য বরাদ্দ মঞ্জুর অর্থমন্ত্রকের
দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে এও জানান হয়, দূষণ রোধ করা কেবলমাত্র আদালতের দায়িত্ব নয়। একটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এটা সকলের দায়িত্ব। বাজি পোড়ানোর পাশাপাশি, পঞ্জাব ও রাজস্থানে খড় পোড়াতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং দিল্লির সরকারকে এই বায়ু দূষণ নিয়ে একটি জরুরিভিত্তিতে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।