নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক বছরে বিবাহবিচ্ছেদের হারে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি চোখে পড়েছে। তা নিয়ে এ বার বিশেষ টিপ্পনি করল দেশের সুপ্রিম কোর্ট। বিবাহবিচ্ছেদের যে যে মামলা আদালতে পৌঁছেছে, তার অধিকাংশই প্রেমের বিয়ে ছিল বলে মন্তব্য করল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। একটি বিবাহবিচ্ছেদ মামলার শুনানি চলাকালীন এমন মন্তব্য করা হয়। বিবাহবিচ্ছেদের  জন্য আবেদন জানানো ওই দম্পতির মধ্য মধ্যস্থতার নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Divorce)।


বিচারপতি গাভাই এমন মন্তব্য করলেন আদালতে


বুধবার সুপ্রিম কোর্টে একটি বিবাহবিচ্ছেদ মামলার শুনানি চলছিল। বিচারপতি বিআর গাভাই এবং সঞ্জয় ক্যারোলের ডিভিশন বেঞ্চে চলছিল শুনানি। তাতে আবেদনকারীদের আইনজীবী আদালতে জানান যে, ওই দম্পতি ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন পরস্পরকে। তাতে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিচারপতি গাভাই বলেন, "অধিকাংশ বিবাহবিচ্ছেদই প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রে ঘটছে দেখছি।"


মামলার শুনানি চলাকালীন এ দিন বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানানো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয় শীর্ষ আদালত। কিন্তু তাতে আপত্তি জানান আবেদনকারী স্বামী। তাতে আদালত জানায়, সম্প্রতি যে রায় দিয়েছে আদালত, তার নিরিখে স্বামীর সম্মতি না থাকলেও বিবাহবিচ্ছেদে সিলমোহর দেওয়া যায়। শেষ পর্যন্ত মধ্যস্থতার নির্দেশই দেয় আদালত।



আরও পড়ুন: Global Warming: সতর্কবার্তা সত্ত্বেও ফেরেনি হুঁশ, আরও চড়বে তাপমাত্রা, ২০২৩-’২৭ হবে সবচেয়ে উষ্ণ


চলতি মাসের শুরুতেই একটি মামলার শুনানিতে গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়, বিয়ে যদি পুনরুদ্ধার একান্তই সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে দুই পক্ষের সম্মতি থাকুক বা কোনও এক পক্ষ বিরোধিতা করুক, সংবিধানের ১৪২ (১) অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে বিবাহবিচ্ছেদে সিলমোহর দেওয়ার অধিকার রয়েছে আদালতের। এ দিন সেই প্রসঙ্গেরই উল্লেখ করেন বিচারপতি গাভাই।


আদালত চাইলে সংবিধান প্রয়োগ করে বিবাহবিচ্ছেদে সিলমোহর দিতেই পারে, তবে সেই নিয়েও বিশেষ শর্ত রেখেছিল বিচারপতি এসকে কউল নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিয়ে কোনও ভাবেই যদি পুনরুদ্ধার করা না যায়, আদালত যদি তা বুঝতে পারে, সে ক্ষেত্রেই বিবাহবিচ্ছেদ সমাধান হতে পারে, যাতে দুই পক্ষই ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যেতে পারেন। 


বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে অতি সম্প্রতিই গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট


বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে আবেদনকারী দম্পতি কতদিন সংসার করেছেন, কতদিন একছাদের নীচে থেকেছেন, পরস্পরের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে তাঁদের, পরিবারের ভূমিকা কী, তা-ও খতিয়ে দেখার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, বিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে দু'তরফে কোনও চেষ্টা-চরিত্র হয়েছিল কিনা, তাও দেখা জরুরি বলে জানায় আদালত।