রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নরেন্দ্রপুরে (Narendrapur) নিজের ঘরে খুন হলেন এক ব্যক্তি (Murder Case)। অভিযোগের তীর নিজের স্ত্রী ও দুই ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। 


জানা গিয়েছে, নিজের বাড়িতে খুন হলেন এক ব্যক্তি। মৃত ব্যক্তির নাম শেখ গোলাম মোহাম্মদ, ৪২ বছর বয়স। ঘটনাটি ঘটে নরেন্দ্রপুর থানায় এলাকার খেয়াদা দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নম্বর খুদিরাবাদ গ্রামে। এই খুনের অভিযোগের তীর ওই মৃত ব্যক্তির স্ত্রী ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে। মৃতের মা এবং ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতের বড় ছেলে সাহিল মোহাম্মদ, ছোট ছেলে সাব্বির মোহাম্মদ, ও মৃতের স্ত্রী ওশিদা বিবিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।


পুলিশ সূত্রে খবর, এই তিন জনের দ্বারা খুন হয়েছেন ওই ব্যক্তি, এ কথা স্বীকার করেছেন তাঁরা। মৃত ব্যক্তি পেশায় গাড়ি চালক ছিলেন। বেশ কিছুদিন তাঁর গাড়ি বন্ধ থাকায় রোজগার কমে যায়। সংসার চালানোর ক্ষেত্রে দুই ছেলে ও স্ত্রীর সঙ্গে ওই মৃত ব্যক্তির বচসা ও ঝামেলা চলছিল কয়েকদিন ধরে। রাগ করে অভিমানে দু-তিন দিন বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন শেখ গোলাম মোহাম্মদ। 


গতকাল সকালে আবার বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। তারপরে আজ সকালে মৃতের মায়ের কাছে খবর যায় তাঁর ছেলে মারা গেছেন। তখনই মা তাঁর অন্যান্য ছেলেদের নিয়ে থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে আসেন নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। মা ও তাঁর ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তিনজনকে আটক করে নিয়ে যান। মৃতের গায়ে কোপানো ও মারধরের চিহ্ন আছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তাঁকে মারধর করার পরে তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।


গতবছর অগাস্টে, সৎ বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছিল ছেলে (Murder Case)। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল নবদ্বীপ পুরসভার একনম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চপাড়ার চন্দ্র কলোনিতে। বছর ৩৮-র মৃতের নাম ইন্দ্র দেবনাথ। অভিযোগ স্বামীকে ছেলের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছিলেন মা সীমা হালদারও। এই ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।


জন্মদাতাকে খুনের ঘটনাও কম নয়। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই বাড়িতেই ছেলের হাতে খুন হয়েছিলেন ঠাকুরপুকুরের পরেশনাথ-ঊষারানি সরকার। বাড়িতেই মাথা কেটে পরেশনাথ-ঊষারানি সরকারকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল ছেলের বিরুদ্ধে। তদন্তে জানা যায়, বাড়ির দোতলায় বাবা এবং  একতলায় মাকে গলা কেটে খুন করে ছেলে। এখানেই শেষ নয়, নৃশংসভাবে খুনের পরেও দু’জনের মৃতদেহ একতলায় আনার পরে পাশের ঘরে রাত কাটায় ছেলে।


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


 আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


এদিকে পরের দিন মিস্ত্রী ডেকে বাড়ির মধ্যে চৌবাচ্চার গর্ত খোঁড়ার সময় সন্দেহ হয় আত্মীয়দের। এরপর সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেয় আত্মীয়রাই। খবর পুলিশের কাছে পৌঁছতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল ছেলে শোভন সরকারকে। ইতিমধ্যেই কেটে গিয়েছে ৯ বছর। সম্প্রতি ঠাকুরপুকুরে বাবা-মাকে নৃশংসভাবে খুনে দোষী সাব্যস্ত হয় ছেলে শোভন সরকার।  অভিযুক্ত ছেলের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করে আদালত।