কলকাতা: জ্যৈষ্ঠমাসের অমাবস্যা তিথিতে ফলহারিণী কালী পুজো হয়। এ বছর ৩ জ্যৈষ্ঠ ফলহারিণী কালীপুজো হবে। এই দিনে চতুর্দ্দশী যেমন রয়েছে, তেমন কেতুর দশাও আছে। মোক্ষফল প্রাপ্তির জন্য এই অমাবস্যার বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। বলা হয়, এই অমাবস্যার তিথিতে মায়ের পুজো ভালো ভাবে সম্পন্ন করলে, মা সমস্ত অশুভ ফলের নাশ করে শুভ ফলের প্রাপ্তি ঘটান৷
১৮৭২ খ্রীষ্টাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতে ফলহারিণী কালী পুজোর দিন শ্রীমা সারদাদেবীকে ষোড়শীরূপে পুজো করেছিলেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ। আজও রামকৃষ্ণমঠ ও মিশনে এই পুজো ‘ষোড়শী’ পুজো নামে পরিচিত। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এই দিনেই তাঁর সমস্ত সাধনার ফল শ্রীসারদা দেবীকে অর্পণ করেছিলেন। দেবী রূপে পুজো করেছিলেন জগৎ কল্যাণের জন্য। বাল্য সারদার মনে আধ্যাত্মিক ভাবধারার বিকাশ ঘটিয়ে এবং নিজের সাধনসঙ্গিনী হিসাবে সারদাকে গড়ে নিয়েছিলেন তিনি। কারণ তিনি জানতেন সারদা কোনও সাধারন মেয়ে নন, তিনিই ভবিষ্যতে রামকৃষ্ণের ভাবাধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। ১২৮০ বঙ্গাব্দের ১৩ই জ্যৈষ্ঠ ফলহারিণী কালী পুজোর দিন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ শ্রীমাকে সাক্ষাৎ ষোড়শী জ্ঞানে পুজো করেন। এটি পৃথিবীর অধ্যাত্মিক ইতিহাসে এক গভীর তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।
বলা হয়, এই দিন মায়ের বিশেষ পুজোয় সকলের বিদ্যা, কর্ম ও অর্থ ভাগ্যের উন্নতি ঘটে। সাংসারিক দাম্পত্য জীবন ও নানা ক্ষেত্রে মানুষ যে বাধার সম্মুখীন হন, সে বাধা কেটে যায় এবং মায়ের কৃপায় অভিষ্ঠ ফল লাভ হয়। সেই সঙ্গে মানসিক ও আধ্যাত্মিক দিকের জাগরণ ঘটে এই বিশেষ তিথিতে ৷
মানুষ সারা জীবন কর্ম করে যান। কিন্তু মনে করা হয়, এই কর্মসমূহের ফল দান করেন দেবী কালিকা। তিনি সমস্ত কিছু শক্তি, জ্ঞান, ইচ্ছা ও কর্মশক্তিরূপে বিরাজিতা। আর ফলহারিণী কালী পুজো প্রত্যেকের বিদ্যা, কর্ম ও সেই সঙ্গে অর্থভাগ্যের উন্নতি ঘটে। প্রেম-প্রণয়ে সমস্ত বাধা দূর হয়। দাম্পত্য সাংসারিক জীবনেও সুখশান্তি লাভ হয়।
এই দিনে কালবেলাদি যোগ- ২.৫১ গতে ৬।৮ এর মধ্যে
কালরাত্রি যোগ- ঘ ১১| ৩৪ গতে ১২ | ৫৫ মধ্যে
শুভযাত্রা নেই, শুভকর্ম নেই, সকল প্রায়শ্চিত্তও নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন, 'স্নেহের খুকি....তোমার মাতা ঠাকুরানী'
ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।