নয়াদিল্লি: শিক্ষা এবং চাকরিতে সংরক্ষণের প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের মধ্যে থেকে অনগ্রসরদের আলাদা করা যাবে। শ্রেণির মধ্যে উপশ্রেণি তৈরি করতে পারবে রাজ্যগুলি। সব চেয়ে অনগ্রসর যাঁরা, সংরক্ষণের বাড়তি গুরুত্ব পাবেন, জানিয়ে দিল আদালত। (Supreme Court)


বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের ছয় বিচারপতিই এতে সায় দেন। ভিন্ন মত পোষণ করেন একজন। ৬:১ অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতি রায়ে তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের মধ্যে অনগ্রসররা সংরক্ষণে বাড়তি গুরুত্ব পেলেন। (Supreme Court on Quota)


এই মুহূর্তে দেশে তফসিলি জাতির জন্য ১৫ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে যাঁরা সবচেয়ে অনগ্রসর, তাঁদের সংরক্ষণে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার পক্ষেই এদিন সায় দিয়েছে আদালত। এর আগে, ২০০৬ সালে পঞ্জাব সরকার এমন পন্থা নিয়েছিল। সরকারি চাকরিতে তফসিলিদের জন্য সংরক্ষণে বাল্মীকি এবং মজহবি শিখগের প্রাধান্য দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন: New Rules Alert : গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ক্রেডিট কার্ড, আজ থেকে বদলে গেল এই নিয়ম, কত বাড়বে খরচ


EV Chinnaiah বনাম অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার মামলায় এদিন এমন রায় শুনিয়েছে আদালত। এর আগে, ২০০৪ সালে আদালত জানিয়েছিল, তফসিলিরা একটি সমজাতি গোষ্ঠী। তাই তাঁদের মধ্যে কোনও উপশ্রেণি ভাগ করা যেতে পারে না। কিন্তু এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, "ইতিহাস এবং গবেষণা বলছে তফসিলিরা সমজাতির মানুষ নন।"


শুনানি চলাকালীন আদালতে কেন্দ্র জানায়, তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের মধ্যে ভাগাভাগির পক্ষে তারা। কিন্তু প্রধান বিচারপতি জানান, উপশ্রেণি বিন্যাস এবং উপশ্রেণি তৈরি এবং উপশ্রেণিকরণের মধ্যে ফারাক রয়েছে। এর পর তিনি জানান, উপশ্রেণিকরণ ঘটিয়ে অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারবে রাজ্যগুলি।