নয়াদিল্লি: বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ও আগ্রাসন রুখতে সীমান্তে বাহিনী মোতায়েন করার পাশাপাশি সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও নিজ ভূমি বেদখল হওয়া রুখতে ভারত এই তিন পন্থা অবলম্বন করতে পারে-- নজরদারি, যোগাযোগ ও জনসংখ্যা। বিশেজ্ঞদের মতে, এই তিন পন্থায় উন্নতি করতে পারলে চিনের ওপর কর্তৃত্ব করতে পারবে ভারত।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ভারতকে এই লড়াইয়ে একটা মজবুত জায়গা দিতে পারে। ঠিক যেমন ইজরায়েলি সেনা করে থাকে, চিনা সেনার গতিবিধির ওপর নজরদারি চালাতে ভারত নাইট-ভিসন ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারে। এর পাশাপাশি, থার্মাল ইমেজিং প্রযুক্তি, মোশন সেন্সর ও ডিটেকশন রেডার এবং সিসমিক সেন্সরের ব্যবহার করতে পারে ভারতীয় সেনা। এর ফলে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিন কোনও প্রকার কার্যকলাপ শুরু করলেই তা ধরা পড়বে। এধরনের নজরদারির ফলে নিরাপত্তাবাহিনী সতর্ক থাকবে এবং যে কোনও সীমান্তপারে অবৈধ কার্যকলাপ রোধ করা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সীমান্ত লড়াইয়ে শক্তিশালী হওয়ার দ্বিতীয় উপায় হল যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা। বিশেষ করে অধিক উচ্চতায় ৫জি নেটওয়ার্ক প্রতিস্থাপন করা। গোটা হিমালয় অঞ্চলে ৫জি পরিষেবা চালু করেছে চিন। এর ফলে, যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত মসৃণ হয়েছে। সেই দিক দিয়ে ভারত অনেকটাই পিছিয়ে। একবার ৫জি ব্যবস্থা চালু হলে, সীমান্তঞ্চলে বিমানবন্দর চালু ও তার রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত সহজ হবে। অন্য প্রান্ত থেকে অতিরিক্ত বাহিনী দ্রুত তলব করা সম্ভব হবে। ফলে, যুদ্ধের সময় যা কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
বিশেষজ্ঞদের তত্ত্ব অনুযায়ী, তৃতীয় পন্থা হল সীমান্তে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া এবং জনবসতি গড়ে তুলতে সাহায্য করা। এর ফলে, জনবসতিহীন ও পরিত্যক্ত এলাকায় মানুষের সমাগম হবে। পর্যটন বাড়বে। এটা দেখা গিয়েছে, যে সব জায়গা ঘনজনবসতিপূর্ণ, সেগুলির দখল নেওয়া সহজ নয়। তারওপর, কোনও জায়গায় বিদেশি পর্যটক আসলে, আন্তর্জাতিক মহলের কাছে প্রমাণিত হবে যে, ওই এলাকা ভারতের দখলে রয়েছে। কারণ, সেখানে টুরিস্ট ভিসা দেওয়ার অনুমতি রয়েছে ভারতের।