মুম্বই: গত ১৪ জুন নিজের বাসভবনে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুত। তাঁর এই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন সুশান্তের অনুগামীরা। অনেকেই মনে করছেন, এই মৃত্যুর নেপথ্যে বৃহত্তর কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাঁদের প্রিয় অভিনেতার এই অকালপ্রয়াণের জন্য দায়ী কেউ।


অন্যদিকে, এই মৃত্যুর তদন্তে নেমে সুশান্তের ঘনিষ্ঠ ও পরিচিত অনেককেই জেরা করেছে মুম্বই পুলিশও। সুশান্ত যে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করতেন, তাঁদেরকেও জেরা করেছে পুলিশ। সম্প্রতি, সেই জেরা থেকেই একটি তথ্য উঠে এসেছে মুম্বই পুলিশের হাতে। তদন্তকারীরা জানান, গত একমাসে চার-চারবার চিকিৎসক পাল্টেছিলেন সুশান্ত।


মৃত্যুর কিছুদিন আগে, তেমনই এক মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন সুশান্ত। মুম্বইয়ের একটি নামকরা হাসপাতালের সঙ্গে জড়িত ওই প্রবীণ চিকিৎসক সম্প্রতি পুলিশকে প্রয়াত অভিনেতার মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিজের মতামত জানিয়েছেন।


সংবাদসংস্থায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মুম্বই পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, 'বাইপোলার ডিসর্ডার'-এ ভুগছিলেন সুশান্ত। তাঁর চিকিৎসা করা অন্তত তিন মনোরোগ বিশেষজ্ঞই এই তত্ত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। অন্য চিকিৎসকরাও জানিয়েছেন, সুশান্তের জীবন ভীষণই চাপযুক্ত ছিল।


মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক জানান, জেরা পর্বে উঠে এসেছে যে, দুই থেকে তিনটি ভিজিটের পরই চিকিৎসক বদলাতেন সুশান্ত। চার মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মধ্যে তিনজন এই কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের ওই আধিকারিক।


তিনি জানান, তিন চিকিৎসকের সঙ্গে তিনবার করে সাক্ষাৎ করেন সুশান্ত। চতুর্থ চিকিৎসক অভিনেতাকে এই অসুস্থতার জন্য কিছু ওষুধ দেন। সেগুলি ২ মাস খাওয়ার পর বন্ধ করে দেন সুশান্ত। এরপর লকডাউনের সময় ফোনে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সুশান্ত। কিন্তু, তাঁর দেওয়া পরামর্শ মানেননি।


মুম্বই পুলিশের ডিসি অভিষেক ত্রিমুখে জানান, বান্দ্রা থানায় তিন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও এক মনোবিজ্ঞানীর বক্তব্য নথিভুক্ত করা হয়।