কলকাতা: ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের শেষ ২১ জুলাই। করোনা আবহে এবার সমাবেশ নয়, ভার্চুয়াল সভা। কালীঘাট থেকে ভার্চুয়াল সভায় ভাষণ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘রাজ্যজুড়ে লাগাতার অপপ্রচার চলছে।’ নেত্রীর প্রতিশ্রুতি, ‘রাজ্যে তৃণমূল থাকলে সারাজীবন বিনামূল্যে রেশন। সারাজীবন বিনামূল্যে স্বাস্থ্য-শিক্ষা। বলেন, ‘আয় করব অন্য জায়গা থেকে। সেই আয় ভাগ করে দেব দুঃস্থদের মধ্যে।
এদিন মমতা বলেন, ‘৪৬ লক্ষ কৃষককে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ১১ লক্ষ কৃষককে কিষান ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে। শস্যবিমার টাকাও দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কৃষিজমির মিউটেশন খরচ নেওয়া হয় না। আদিবাসীদের জমি দখল বন্ধে আইন হয়েছে। সাড়ে ৯ লক্ষ মানুষকে আবাস যোজনার সুফল। রুক্ষ মাটিকে কাজে লাগিয়ে নতুন প্রকল্প চালু হয়েছে। ৫০ হাজার একর জমিতে নতুন প্রকল্প।’
মমতা আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় গেছে, করোনা চলছে, উন্নয়ন থামেনি। বাংলাকে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র, এর বদলা নেবই। মানবিকতার সঙ্গে বদলা নেবে বাংলা। ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কয়েক কোটি মানুষকে আগেই নিরাপদে সরানো হয়। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তারা টাকা পাবেন, চিন্তা করবেন না।’
এদিনে সভা থেকে তৃণমূল সরকারের রিপোর্ট কার্ড পেশ করেন মমতা। বলেন, ‘তৃণমূলের আমলে ৩ গুণ রাজস্ব আদায় বেড়েছে। ৮ বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলা। দারিদ্র দূরীকরণ, ১০০ দিনের কাজে একে বাংলা। ক্ষুদ্র শিল্প, সংখ্যালঘু বৃত্তি প্রদানে বাংলা এক নম্বরে। ১ কোটি পড়ুয়াকে সবুজ সাথী প্রকল্পের সুবিধা। দুটি ঘূর্ণিঝড়ে ৫২ লক্ষ পরিবারকে আর্থিক সাহায্য। রেশনে খারাপ চাল কেন্দ্রের দেওয়া। রাজ্যে শিশুমৃত্যুর হার আগের তুলনায় কমেছে।
মমতা আরও বলেন, নতুন আরও ১১টি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে। আরও ৬৬ লক্ষ মানুষকে রেশনের কুপন দেওয়া হচ্ছে। দিদিকে বলো থেকে জেনে ৬ লক্ষ মানুষকে পেনশন। নায্যমূল্যের ওষুধের দোকান, ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু হয়েছে। তফসিলিদের জন্য জয় বাংলা প্রকল্প চালু হয়েছে। আশাকর্মীদের ভাতা অনেক বাড়ানো হয়েছে।
মমতা যোগ করেন, পে কমিশনের মাধ্যমে বেতনবৃদ্ধির চেষ্টা করেছি। দেশে বেকারত্বের হার ৪৫% বেড়েছে। রাজ্যে বেকারত্বের হার ৪০% কমেছে। সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের বৃত্তির কেন্দ্র নয়, রাজ্য দেয়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে নানাভাবে সাহায্য করা হয়েছে। একশো দিনের কাজে ২২৭ কোটির বেশি শ্রমদিবস।