নয়াদিল্লি: সুশান্ত সিংহের মৃত্য়ুর তদন্তভার সিবিআইকে হস্তান্তর করা নিয়ে বিহার, মহারাষ্ট্র সরকারের মধ্যে বিবাদ, সংঘাতের মধ্যেই প্রয়াত অভিনেতার বাবা কে কে সিং শনিবার ফরিদাবাদে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টারের সঙ্গে দেখা করলেন। তাঁদের বৈঠকের সময় ছিলেন সুশান্তের বোন রানি সিংহ, যাঁর বিয়ে হয়েছে ফরিদাবাদের পুলিশ কমিশনার ওপি সিংহের সঙ্গে। খট্টার সুশান্তের বাবাকে ‘ন্যয়বিচারে’র আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে আজই সুপ্রিম কোর্টে সুশান্তের বাবার আইনজীবী বলেছেন, গত ১২ মাস ধরে সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর আচরণই তাঁর মৃত্যুর কারণ, এর সমর্থনে অনেক প্রমাণই আছে।১৪ জুন সুশান্তের মুম্বইয়ের বাসভবনে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। মুম্বই পুলিশ এটা আত্মহত্যা বলে জানালেও সুশান্তের পরিবার রিয়াকেই দায়ী করছে। সুশান্তের বাবা মামলা করেছেন। বিহার পুলিশ সুশান্তের ওপর মানসিক নির্যাতন ও তাঁর মুম্বইয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বেআইনি ভাবে ১৫ কোটি টাকা সরানোর অভিযোগ তুলেছে রিয়ার বিরুদ্ধে।
রিয়া যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, পটনায় সুশান্তের পরিবারের প্রভাব-প্রতিপত্তির উল্লেখ করে এফআইআরটি বিহার থেকে মুম্বইয়ে সরানোর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
সুশান্তের বাবা নিজের হলফনামায় দাবি করেছেন, সিবিআই ইতিমধ্যেই মামলাটি হাতে নেওয়ায় রিয়ার পিটিশনটি অচল হয়ে গিয়েছে। তবে সিবিআইয়ের ব্য়বস্থা নেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে শীর্ষ আদালতে রিয়ার পিটিশনের ফয়সালার ওপর। সিবিআই কেবলমাত্র রিয়া ও আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক মামলা রুজু করেছে।
যেহেতু সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে মুম্বইয়ে, তাই এই মামলায় সিবিআইয়ের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে সরকার এখনও সিবিআইকে ডাকেনি। রিয়াই এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আবেদন করেছিলেন, সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হোক। তবে তারপর থেকে তিনি বলছেন, সুপ্রিম কোর্টে তাঁর পিটিশনের শুনানি চলার মধ্যে সিবিআইকে ডাকা ‘পুরোপুরি অবৈধ, আইনি নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থী, যা দেশের ফেডারেল কাঠামোয় আঘাত করবে’।