কলকাতা : "একজন নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) রুখতে সমস্ত চোরেদের সিন্ডিকেট এক হয়েছে।" পাটনায় ১২ জুন বিরোধীদের প্রথম সম্মিলিত বৈঠকের আয়োজনকে এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।


২০২৪-এর আগে বিরোধী জোট গঠনে নয়া মোড় । পাটনায় ১২ জুন হতে চলেছে বিরোধীদের প্রথম সম্মিলিত বৈঠক। বৈঠকে তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে থাকছে কংগ্রেস (Congress)। হাজির থাকবে আরজেডি, জেডিইউ, ডিএমকে, এনসিপি সহ অধিকাংশ বিরোধী দল। পাটনায় বৈঠক ডাকতে নীতীশ-তেজস্বীকে আগেই অনুরোধ জানিয়েছিলেন মমতা। সেই অনুরোধ মেনেই বৈঠক ডাকলেন নীতীশ।


এপ্রসঙ্গে বিরোধীদের একহাত নিয়ে শুভেন্দু বলেন, "সব ভোটের আগে করে। তারপর হেরে ঘর যায়। একজন নরেন্দ্র মোদিকে রুখতে সমস্ত চোরেদের সিন্ডিকেট এক হয়েছে। কিছু করতে পারবে না। মোদিজির সঙ্গে দেশবাসী আছে। ভারত মাতার সন্তানরা আছে।" 


গত ২৪ এপ্রিল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা JDU নেতা নীতীশ কুমার, উপমুখ্যমন্ত্রী তথা RJD নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তখনই, পাটনায় বৈঠক ডাকতে নীতীশ-তেজস্বীকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। জানা গেছে, সেই মতোই এবার ১২ জুন বৈঠক ডাকলেন নীতীশ কুমার।


সম্প্রতি, মমতা-অখিলেশ, মমতা-কুমারস্বামী, রাহুল-নীতীশ, তেজস্বী-রাহুল, রাহুল-শরদ পাওয়ার, মমতা-কেজরিওয়াল... গত কয়েক মাসে বিজেপি বিরোধী একাধিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে এভাবেই বারবার বৈঠকে বসতে দেখা যাচ্ছে। যার জেরে প্রশ্ন উঠছিল, তাহলে কি ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের জন্য় বিরোধী জোটের সলতে পাকানো শুরু হয়ে গেল ? এরমধ্যেই, ২৩ মে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মানকে পাশে বসিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, 'আর তো ৬ মাস, তার আগেও হতে পারে, কোনও মিরাকেল হতে পারে।' সেই সুরেই আজ তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় মন্তব্য করেন, "বিজেপির বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়েই লড়বে বিরোধীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁর যুক্তি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সেই পথে কংগ্রেস চললে বিরোধী জোট আরও শক্তিশালী হবে।"


যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, ‘পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই থামবে না।’ এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের উদ্যোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। বিজেপির বক্তব্য, প্রচারে থাকার জন্য এই ধরনের কর্মসূচি বেচে নিয়েছেন বিরোধীরা। কিন্তু তাঁদের কোনও জনভিত্তি নেই।