কলকাতা ও মেদিনীপুর: মেদিনীপুরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় উপস্থিত দলের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ২০ জন বিধায়ক।অসুস্থতার কারনে ছিলেন না তিন বিধায়ক। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কে জটিলতার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম রাজনৈতিক জনসভায় দেখা গেল না পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির অধিকারীর পরিবারের কাউকেই। নেত্রীর মুখে শোনা গেল না শুভেন্দু অধিকারীর নাম।তবে না না করে বার্তা দিয়েছেন মমতা। বলেছেন,যারা ব্ল্যাকমেল নিয়ে খেলছেন, তারা আগুন নিয়ে খেলছেন। এই ঘটনায় আলোচনা ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী?
কয়েকদিন আগেই মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু। তার পর তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কে তাঁর জট মেটাতে বৈঠকও হয়েছিল। কিন্তু বিচ্ছেদসম্ভাবনায় লাগাম পরানো যায়নি এই বৈঠকেও। এরইমধ্যে জানা গিয়েছিল, রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান খোলসা করবেন শুভেন্দু। কিন্তু সেই সাংবাদিক বৈঠক হয়নি।
এরইমধ্যে মেদিনীপুরে যেদিন তৃণমূল নেত্রীর জনসভা, সেদিন কলকাতায় দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিন দুপুরে কাঁথির শান্তিকুঞ্জ থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন শুভেন্দু। মাঝপথে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অতিথি নিবাসে ১ ঘণ্টার বিরতি। তারপর ফের রওনা দেন কলকাতায়।এদিন শুভেন্দু অধিকারীর সুকিয়া স্ট্রিটের আবাসনে যাওয়ার কথা থাকলেও, সংবাদমাধ্যম থাকায় গাড়ি থেকে নামেননি তিনি। উল্টে তিনি বউবাজার হয়ে এমজি রোডের দিকে রওনা দেন। এখনও পর্যন্ত তাঁর গন্তব্য ঠিক কোথায় জানা যায়নি। সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক।