ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: পূর্ব মেদিনীপুরের হেঁড়িয়ায় দাদার অনুগামীদের পার্টি অফিসে বিজেপির পতাকা! ভাইরাল হওয়া ভিডিও ঘিরে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা আরও জোরাল। প্রকাশ্যে গুরুত্ব দিচ্ছে না শাসক শিবির। চলতি সপ্তাহেই শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে খবর। বুধবারই বিধানসভায় গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। তবে শুভেন্দু বিজেপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেওয়ার আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের হেঁড়িয়ায় দাদার অনুগামীদের অফিসে উড়ল বিজেপির পতাকা।
ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
মাত্র কিছুদিন আগেই হেঁড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে তৃণমূলে পার্টি অফিস থেকে কিছুটা দূরে এই অফিস তৈরি হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, বুধবার সকালে দাদার অনুগামীদের অফিসের মাথায় উড়ছে পদ্মফুলের পতাকা। তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ কণিষ্ক পণ্ডা বললেন, অনেকেই আবেগে ভাসছেন, কোথায় কে কী করছে সেটা বলা মুশকিল, তবে দাদা যেদিন আসবেন, সেদিন এলাকায় গেরুয়া ঝড় অবশ্যই বইবে। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীও বলেন, মানুষ বুঝে গিয়েছে, এখানে বিজেপি আসছে ক্ষমতায়।
বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন, শুভেন্দু কি আগামী শুক্রবার দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দেবেন? নাকি আগামী শনিবার মেদিনীপুরে অমিত শাহ-র সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে দলবদল করবেন?
গত ৭ ডিসেম্বর মেদিনীপুর কলেজের মাঠে সভা করে বিজেপিকে নিশানা করেছিলেন মমতা। শনিবার সেই মাঠেই জনসভা করবেন শাহ। আর সেই মঞ্চেই শুভেন্দু-সহ একাধিক হেভিওয়েটের দল বদলের জল্পনা চলছে। সঙ্গে শুভেন্দুর নিজের জেলায় তাঁর অনুগামীদের তৎপরতা! প্রকাশ্যে একে গুরুত্ব দিচ্ছে না শাসক শিবির। রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি যেমন বলেছেন, বিগত কয়েকদিন ধরে শুভেন্দু এসব করছেন, উনি বিভিন্ন জায়গায় অফিস তৈরি করেছেন, কে কী লাগাল তাতে কিছু বলার নেই।

হেঁড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকাটি খেজুরি বিধানসভার অন্তর্গত। গত লোকসভা ভোটে হেঁড়িয়া অঞ্চলে তৃণমূলকে কাঁটায় কাঁটায় টক্কর দিয়েছিল বিজেপি। পরিসংখ্যান বলছে, খেজুরি বিধানসভায় তৃণমূল ভোট পেয়েছিল ৯৬ হাজার ৫০৬টি। বিজেপি প্রার্থী পেয়েছিলেন ৯০ হাজার ৯৫৩ ভোট। মাত্র ৫ হাজার ৫৫৩ ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল।
গত ২৭ নভেম্বর শুভেন্দু মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর এই খেজুরি বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের ৬টি পার্টি অফিসে পদ্মফুল পতাকা ওড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য সবকটি পার্টি অফিস পুনর্দখল করা হয়েছে বলে দাবি করে তৃণমূল।