তিরুঅনন্তপুরম: কেরলে স্থানীয় প্রশাসনিক নির্বাচনে জয়জয়কার সিপিএম-বামেদের। ৯৪১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫০০টির বেশি জিতেছে তারা। ৬টি কর্পোরেশনের ৪টি, ১৪টি জেলা পঞ্চায়েতের ১০টি, ১৫২টি ব্লক পঞ্চায়েতের ১১২টি ঝুলিতে পুরেছে বামেরা। ত্রিচুর, এর্নাকুলাম, কোট্টায়মে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসিয়েছে তারা, যা থেকে ইঙ্গিত, সিপিএমের জনপ্রিয়তার প্রসার ঘটেছে। তবে পুরসভাগুলিতে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ এগিয়ে রয়েছে।
কংগ্রেস পিনারাই বিজয়নের বাম সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের ইস্যু, গত বছর লোকসভা ভোটে তাদের বিপুল জয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ভাল ফলের আশা করলেও শেষ পর্যন্ত নিরাশই হতে হল তাদের। ২০২১এর ভোটে জোরদার প্রচার, বিরোধিতা কতটা তারা করতে পারবে, সেই প্রশ্নও উঠে গেল।
বিজেপি ধাক্কা খেয়েছে ত্রিচুর, তিরুঅনন্তপুরম কর্পোরেশনে। তবে তারা গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা দ্বিগুণ বাড়িয়েছে, একটি পুরসভাও জিতেছে তারা।
৯৪১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫৯৬২টি ওয়ার্ড, ১৫২টি ব্লক পঞ্চায়েতের ২০৮০টি ওয়ার্ড, ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৩১টি ডিভিশন, ৮৬টি পুরসভার ৩০৭৮টি ওয়ার্ড, ৬টি পুরনিগমের ৪১৪টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ হয় গত ৮, ১০ ১৪ ডিসেম্বর, তিন দফায়। ২০১৫-য় ভোট পড়েছিল ৭৭.৭৬ শতাংশ, এবার ভোট পড়ে সামান্য কম, ৭৬ শতাংশ।
২০১৫-র নির্বাচনেও সিপিএম-এলডিএফ দারুণ সাফল্য পেয়েছিল। ৯৪১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৫১টি, ৮৬টি পুরসভার ৪২টি, ১৪টি জেলা পঞ্চায়েতের সাতটি, ১৫২টি ব্লক পঞ্চায়েতের ৮৮টি, ৬টি কর্পোরেশনের ৪টি জেতে তারা। ৩৬২টি পঞ্চায়েত, সাতটি জেলা পঞ্চায়েত, ২টি কর্পোরেশন, ৪০টি পুরসভা, ৬৩টি ব্লক পঞ্চায়েত দখল করে দ্বিতীয় হয় ইউডিএফ। বিজেপি ১৪টি পঞ্চায়েত, ১টি পুরসভায় জয়ী হয়।