কলকাতা : বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী কৃষ্ণদাস প্রভুকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব হলেন শুভেন্দু অধিকারী। চিন্ময় কৃষ্ণদাস প্রভুকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে 'অপহরণ' করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। বিষয়টি দেখার এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে এক্স হ্যান্ডেলে আর্জি জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা।
এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, "বিখ্যাত হিন্দু নেতা শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণদাস প্রভুকে বাংলাদেশের ঢাকা বিমানবন্দর থেকে অপহরণ করেছে গোয়েন্দা শাখা। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষা এবং মর্যাদার দাবিতে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশের সনাতনী সম্প্রদায়ের আশঙ্কা, মহম্মদ ইউনুসের 'মৌলবাদী' শাসন যে কোনও স্তরে নামতে পারে। এমনকী প্রশাসনের কাছে কোনও আশঙ্কা থাকলে তাঁকে নির্মূলও করতে পারে। তাই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে আর্জি জানাচ্ছি, বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার। বাংলাদেশ সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেছিল। তিনি আগেই বলেছিলেন, 'যে কোনও সময় আমি গ্রেফতার হতে পারি। আপনারা একসঙ্গে থেকে এই আন্দোলনকে বাঁচিয়ে রাখুন।' চিন্ময় কৃষ্ণদাস প্রভু এমনটাই অনুমান করছিলেন। সেই বার্তা আগেই শেয়ার করেছিলেন তিনি।"
এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করে লেখিকা তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, 'চিন্ময় কৃষ্ণদাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদে চট্টগ্রামে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন হিন্দুরা।'
ISKCON মন্দিরের সমালোচনা করে সপ্তাহ দু'য়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করা হয়। যাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনার পর এদিন ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয় হিন্দু সন্ন্যাসী কৃষ্ণদাস প্রভু ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীকে। তাঁকে আটক করে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। পরে অবশ্য তাঁর গ্রেফতারির খবর ছড়িয়ে পড়েছে। আপাতত তিনি দেশ ছাড়তে পারবেন না। কোনও এক অজানা জায়গায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন এই সন্ন্যাসী। কিন্তু, কীভাবে ও কবে থেকে শিরোনামে এলেন কৃষ্ণদাস প্রভু ?
গত ৫ অগাস্টের পর থেকে বাংলাদেশে সনাতন ধর্মের ব্যানারে একাধিক সভার আয়োজন করা হয়। সেইসব জমায়েত থেকে, ISKCON- নেতা চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে একাধিক হুঁশিয়ারিমূলক বক্তৃতা দেন বলে অভিযোগ। এর আগেও তাঁকে নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু, চট্টগ্রাম শহরের লালদিঘির ময়দান থেকে গত ২৫ অক্টোবর দুপুরের সমাবেশের পর চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীকে নিয়ে আলোচনা আরও বেড়ে যায়। সেই সভা থেকে ৮ দফা দাবি তোলা হয়।