শুভেন্দুর বাবা তথা পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূলের সভাপতি শিশির অধিকারীর সঙ্গে মিনিট পনেরো কথা বলেন প্রশান্ত কিশোর। অধিকারী পরিবার সূত্রে খবর, শুভেন্দুকে দলে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার প্রস্তাব দেন পিকে। পাশাপাশি, দলনেত্রীর উপস্থিতিতে শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাবও দেওয়া হয়। শিশির অধিকারীর মোবাইল ফোন থেকে শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলতে চান প্রশান্ত কিশোর। অধিকারী পরিবার সূত্রে দাবি, কথা বলতে রাজি হননি শুভেন্দু।
এই ঘটনা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে! এদিকে শুভেন্দুকে ঘিরে জল্পনা যখন ক্রমশ জোরাল হচ্ছে, তখন বৃহস্পতিবারই কারও নাম না করে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে অধীর চৌধুরীর একটি বার্তা ট্যুইট করা হয়েছে, যেখানে তিনি বলেছেন, তৃণমূলের কোনও রাজনৈতিক অস্তিত্ব নেই। তৃণমূলে থাকতে কারো সমস্যা হলে কংগ্রেসের দরজা তাদের জন্য খোলা।
শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার মাঝেই নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছে সিপিএম-ও। সুজন চক্রবর্তী বলেন, যে মই বেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছিল। ক্ষমতায় আসার পরে সেই সমস্ত মই ঠেলে ফেলে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম না করে শুভেন্দু ইস্যুতে পাল্টা সুর চড়াচ্ছে তৃণমূলের একাংশও।
মঙ্গলবার তৃণমূলের থেকে আলাদাভাবে, ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি গরহাজির ছিলেন। বৃহস্পতিবার আবার অনেকদিন পর তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে দলনেত্রীর কথা। আর সেদিনই তাঁর বাড়িতে পৌঁছলেন তৃণমূলের ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোর।