নয়াদিল্লি: দিল্লির আদালত সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠাল সাসপেন্ড হওয়া আমআদমি পার্টি (আপ) কাউন্সিলর তাহির হুসেনকে, যাঁকে সাম্প্রতিক দিল্লির হিংসার সময় ইনটেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) কর্মী অঙ্কিত শর্মা হত্যায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। গতকাল তিনি গ্রেফতার হন। আজ তাঁকে দিল্লি পুলিশ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রাকেশ কুমার রামপুরির বাসভবনে বসানো এজলাসে হাজির করে দাবি করে, আই বি হত্যার পিছনে বৃহত্তর চক্রান্ত আছে কিনা, জানার জন্য তাহিরকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। তাহিরের আইনজীবী মুকেশ কালিয়া এ কথা জানিয়েছেন।
তাহিরকে আজ সন্ধ্যায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তোলা হয়। মামলার সঙ্গে সম্পর্ক নেই, এমন কেউই, মিডিয়ার লোকজন বা কোনও আইনজীবী সেসময় ছিলেন না।
আইবি হত্যা মামলার ব্যাপারে গতকাল আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেন তাহির। তবে আদালত তা খারিজ করলে তিনি গ্রেফতার হন। আদালত জানায়, তাহির যে সুরাহার প্রার্থনা করেছেন, তা তাদের এক্তিয়ারে পড়ে না, তাই তাঁর আবেদন খারিজ করা হল। তাহির তাঁর আবেদনে বলেছিলেন, তিনি তদন্ত প্রক্রিয়ায় সামিল হতে চান, তাই আত্মসমর্পণে প্রস্তুত।
আইনজীবী কালিয়া তাহিরের হয়ে আদালতে বলেন, তাঁর মক্কেলের প্রাণহানির প্রবল আশঙ্কা আছে, তাই করকরদুমা জেলা আদালতে ‘উত্তেজনাকর, উত্তপ্ত পরিবেশ’ থাকায় তিনি উপযুক্ত আদালতে ধরা দেননি। তাহিরকে এই মামলায় মিথ্যা জড়িয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলে তাঁর জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষা চান আইনজীবী। তবে আদালত তাহিরের আবেদন নাকচ করায় আদালতে আগেই পৌঁছে যাওয়া দিল্লি পুলিশের টিম তাঁকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেয়।
২৬ বছর বয়সি অঙ্কিতের দেহ উদ্ধার হয়েছিল উত্তর পূর্ব দিল্লির চাঁদবাগ এলাকার নালা থেকে। সেটি তাহিরের বাড়ির কাছেই। অঙ্কিতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তাহিরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। আপও তাহিরকে সাসপেন্ড করে।
দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তরপূর্ব দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকায় চারদিন ধরে দাপিয়ে বেড়ায় দাঙ্গাবাজরা। লুঠতরাজ, হিংসা, অশান্তিতে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাজধানী শহরের একাংশ।