নয়াদিল্লি: তর্ক-বিতর্কে থেকে থাকে না অধিবেশন, সংসদ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে বচসা বাঁধা থেকে হুলস্থুল কাণ্ডের নজির রয়েছে প্রায় সব দেশেই। কিন্তু বিল পেশ করতে গেলে তা ছিনতাই করে পালানোর ঘটনা শোনা যায়নি কখনও। কিন্তু তাইওয়ানের সংসদে এবার তেমনই ঘটনা ঘটল। বিল পাস হওয়া আটকাতে, বিল ছিনতাই করে পালালেন এক নির্বাচিত প্রতিনিধি। (Taiwan MP Steals Bill)
সোমবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন লাই চিং-তে। তাঁর দল Democratic Progressive party সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া সত্ত্বেও, জানুয়ারি মাসের নির্বাচনে জয়ী হন লাই। তাই প্রধান বিরোধী দল The Kuomintang, তাইওয়ান পিপলস পার্টির মতো ছোট দলগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকারের বিরোধিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই আবহেই শুক্রবার এই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তাইওয়ানের সংসদ। (Viral News)
সরকারির ক্ষমতাবৃদ্ধি, সংসদে মিথ্যে বললে জরিমানা সংক্রান্ত একটি বিল ওই দিন তাইওয়ানের সংসদে ওঠে। সেই নিয়ে সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সংসদের অধিবেশন। শুধু তর্ক-বিতর্ক নয়, ধাক্কাধাক্কি, মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। সংবাদমাধ্যমে দেখা যায়, পরস্পরের দিকে লাথি, ঘুষি ছুড়ে চলেছেন শাসক এবং বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা। মাটিতে একজনকে চেপে ধরে রয়েছেন অন্য জন, এই দৃশ্যও ধরা পড়ে টেলিভিশনের পর্দায়।
আর এতকিছুর মধ্যেই হঠাৎ ঝড়ের গতিতে সংসদ থেকে ছুটে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় এক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে। সংসদে ওই বিলটি পাস করাতে উদ্যোগী হন শাসকদলের প্রতিনিধিরা, যা আটকাতে ছোঁ মেরে বিলটি কেড়ে নিয়ে দৌড় লাগান ওই রাজনীতিক। তাঁর পিছনে দৌড় লাগান বাকিরাও।
ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। নেটিজেনদের কেউ লেখেন, ‘নিজের হাতে বিষয়টি তুলে নিলেন উনি’। অন্য আর এক জন লেখেন, ‘পৃথিবীর ৯০ শতাংের বেশি কম্পিউটার চিপ তাইওয়ান একা উৎপাদন করে। অথচ তাদের কাছে কপি মেশিনই নেই’! ২৪ ঘণ্টা যদি পালিয়ে বেড়াতে পারেন, তাহলে বিলটি পাস করা যাবে না, এমন আইন অবিলম্বে চালু করা উচিত বলেও রসিকতা করেন কেউ কেউ।
বিল ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার ভিডিওটি যেমন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে, ওই দিন তাইওয়ানের সংসদে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়, তা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। মারামারিতে এক জনপ্রতিনিধি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্পিকারের চেম্বারের পর্দা ছিঁড়ে দেওয়া হয়।