কাবুল: তালিবানরা (Taliban) আফগানিস্তান (Afghanistan) দখলের পর থেকেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সন্মুখীন হচ্ছেন আফগানিস্তানবাসীরা। দেশে ফের ইসলামি (Islami) শরিয়া আইনই প্রায় চালু করেছে তাঁরা। মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদের জন্যও নয়া নিয়ম এবার আনল তালিবানরা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে, তালিবান প্রশাসনের পাবলিক নৈতিকতা মন্ত্রক সরকারি অফিসের প্রবেশ পথে টহল দিয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখেছেন যে কর্মচারীরা দাঁড়ি রেখেছেন কি না এবং নির্দিষ্ট পোশাক মেনে পরে এসেছেন কি না।

  


সূত্রের খবর, তালিবান প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, স্থানীয় পোশাক পরে আসতে। অর্থাৎ বড়, ঢিলে টপ এবং প্যান্ট এবং একটি টুপি পরতেও বলা হয়েছে। এই ড্রেস কোড সব সরকারি কর্মচারীদের বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলতে হবে। এর অন্যথা হলে তাঁদের অফিসে ঢুকতেও দেওয়া হবে না। এমনকি এই ড্রেস কোড মেনে না চললে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।


এমন আশঙ্কা ছিলই। ১৯৯৬ সালে তাদের শাসনকালে যা আগেই করেছিল তালিবান।  সেই সময় বথেকে বেশি প্রভাব পড়েছিল নারী স্বাধীনতায়। যেখানে মেয়েদের স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল তালিবানরা। এমনকী কাজের  জন্য কোনও মহিলার একলা বাড়ির বাইরে বেরোনো নিষিদ্ধ ছিল। বাইরে যেতে গেলে পুরুষদের সঙ্গেই বেরোতে হত মহিলাদের। সেক্ষেত্রেও বোরকা পরা ছিল আবশ্যিক কাজ। অতীতের তালিবান শাসনের সেই নেতিবাচক স্মৃতিই যেন ফিরে এল ফের। 


গত সপ্তাহের বুধবারই তালিবান সরকারের তরফে জানানো হয়, ষষ্ঠ শ্রেণির পর মেয়েদের পড়াশোনা করার আর কোনও প্রয়োজন নেই। আপাতত মেয়েদের স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশিকার এক সপ্তাহ পরই এবার মহিলাদের একা চলাফেরার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।                                       


সরকার গঠনের কয়েক মাস পর থেকেই মেয়েদের শিক্ষা ও কাজের উপর একাধিক ফতেয়া জারি করা হয়। কখনও ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা শিক্ষাব্যবস্থার কথা বলা হয়, আবার কখনও শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যে ক্ষেত্রগুলিতে একমাত্র মহিলাদেরই কাজ করা সম্ভব, কেবল সেখানেই কাজের অনুমতি দেওয়া হয়।