কাবুল: আফগানিস্তানের জেল থেকে মুক্ত করা হয়েছে শতাধিক তেহরিক-এ-তালিবান-পাকিস্তানের জঙ্গিদের। এই তালিকায় নাম রয়েছে বেশ কয়েকজন কমান্ডারের। টাইমস নাও-এর রিপোর্ট বলছে, টিটিপি-র প্রাক্তন ডেপুটি চিফ ফকির মহম্মদেরও নাম রয়েছে মুক্তদের লিস্টে।


রিপোর্ট বলা হয়েছে, মুক্তি পাওয়ার পরই ফের জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছে তেহরিক-এ-তালিবান-পাকিস্তানের জঙ্গিরা। মুক্তদের তালিকায় রয়েছে আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদের নাম। অতীতে এই তেহরক-এ তালিবান-পাকিস্তান জঙ্গি সংগঠন চিন্তা বাড়িয়েছিল ইসলামাবাদের। বহুবার আল কায়েদার সমর্থন পেয়ে পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে এই সংগঠন। এই জঙ্গি সংগঠনের মূল্য লক্ষ্য পাকিস্তান সরকারকে উৎখাত করা।যাতে মদদ জোগাচ্ছে আল কায়েদার মতো জঙ্গিরা।


এই জঙ্গি সংগঠনের মূল চালিকা শক্তি আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার জঙ্গিরা।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তালিবান আফগানিস্তান দখল করার পর মানসিক শক্তি বেড়ে গিয়েছে এই ধরনের জঙ্গি সংগঠনগুলির। মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সন্ত্রাসবাদের কারবারিরা মাথাচাড়া দেবে। যার ফলে বিশ্বে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আরও বাড়বে। 


এ প্রসঙ্গে সন্ত্রাসবাদ গবেষক গুইডো স্টেইনবার্গ জানান, তালিবান আফগানিস্তান দখলের পর এখন ইসলামিক স্টেট, আল কায়েদা ছাড়াও ছোট ছোট জঙ্গি সংগঠন আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে সক্রিয় হয়ে উঠবে। ওদের মনে শুধু এখন একটাই ধারণা জন্মেছে, আমেরিকাকেও হারানো যায়। এই তালিবান জঙ্গিদের জয় তাদের সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেছে।পরিস্থিতি এমন হয়েছে, আগে শত্রু থাকলেও এখন বন্ধু হয়েছে সব জঙ্গি সংগঠনগুলি। যার মধ্যে তালিবান, ইসলামিক স্টেট ছাড়াও নাম লিখিয়েছে আয় কায়েদা। 


এদিকে তালিবান আফগানিস্তান দখল করলেও পঞ্জশির উপত্যকা এখনও তাদের দখলে আসেনি। সেখানে তালিবান বিরোধী নেতা আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে এখন তালিবানদের বিরুদ্ধে ঝান্ডা ধরেছেন। আহমেদ মাসুদ জানিয়েছেন, বাবার পথেই তালিবানদের বিরুদ্ধে হাঁটবেন তিনি। ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া ইন্টারভিউয়ে তিনি বলেছেন, আফগানিস্তানে তালিবান রুখতে আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গুলি-বারুদের প্রয়োজন তাঁর। কোনওভাবেই তালিবানদের বিরুদ্ধে মাথা ঝোঁকাতে রাজি নন তিনি।