কাবুল: থামছে না দখলদারির আগ্রাসন। ফের আফগানিস্তানের আরও এক প্রদেশের দখল নিল তালিবানরা। এবার রাজধানী কাবুলের 'ঘারে নিশ্বাস ফেলছে' জঙ্গি গোষ্ঠী।কাবুল থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে তারা।


শুক্রবার আফগানিস্তানের আরও এক প্রদেশে ঝান্ডা পুঁতেছে জঙ্গিরা। রাজধানী কাবুল থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে রয়েছে এই শহর।সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে তালিবানদের নতুন প্রদেশ জয়ের বিষয়ে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। যা স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ বাড়িয়েছে আফগান সরকারের। ইতিমধ্যেই দেশের ১২টি প্রদেশ নিজেদের দখলে এনেছে তালিবানরা। মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়ার পরই আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী।


'দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল'-এর রিপোর্ট বলছে, মুখে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই বললেও দেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে তালিবানিরা। আত্মসমর্পণ করা আফগান জওয়ানদেরও হত্যা করছে তারা। খোদ আফগানিস্তানের নিরস্ত্র জনতার ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি সেই নমুনা দেখা গিয়েছে বিভিন্ন প্রদেশে। তবে এবার তালিবানি অত্যাচারের আরও বর্বরোচিত ঘটনার সাক্ষী থাকছে আফগানিস্তান। রিপোর্ট বলছে, জঙ্গিদের সঙ্গে আফগান যুবতীদের জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।বিয়ের নামে যৌন নির্যাতন শুরু করেছে জঙ্গিরা।


আফাগানিস্তানে বহু প্রদেশে ক্ষমতা দখলের পরই দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেয় তালিবানি জঙ্গিরা। তারা জানায়, তালিবানিদের নিয়ে দেশবাসী তথা সরকারি আমলা ও সেনাবাহিনীর ভয় পাওয়ার কিছু নেই।যদিও 'দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল'-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্ষমতায় এসেই নিজেদের কথা রাখেনি জঙ্গিরা। 


সম্প্রতি তালিবানিদের এই দ্বিচারিতা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে আফগানিস্তানের আমেরিকার দূতাবাস। সরকারি ট্যুইটার হ্যান্ডেলে তারা জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী আফগান সেনা জওয়ানদের হত্যা করা হচ্ছে। এটা যু্দ্ধাপরাধের সমান, যা মেনে নেওয়া যায় না। বৃহস্পতিবারই তালিবানি মুখপাত্র জানিয়েছিল, আফগানিস্তানের অন্যতম বড় শহর কান্দাহার এখন তাদের দখলে। রাজ্যপালের ভবন ছাড়াও সব সরকারি ইমারত দখল করে নিয়েছে তারা।