নয়াদিল্লি: বিরিয়ানির ব্যবসায় নেমে গোড়াতেই হোঁচট খেলেন ২৯ বছরের এক যুবক। দোকান খুলে প্রথম দিনেই খদ্দের টানতে তিনি ১০ টাকায় এক প্লেট বিরিয়ানির অফার দিতেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের আবহে কাতারে কাতারে লোক হাজির হয়। আরুপ্পুকোট্টাইয়ে নতুন বিরিয়ানির দোকান খোলার আগেই জাকির হুসেন নামে ওই ব্যবসায়ী বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন, রবিবার বিরিয়ানি মিলবে মাত্র ১০ টাকা প্লেট দামে। তাও বেলা ১১টা দুপুর ১টা পর্যন্ত, মাত্র দু ঘন্টার জন্য থাকবে এই অফার। সকাল ১১টার আগেই মাস্ক ছাড়াই, শারীরিক দূরত্ববিধির তোয়াক্কা না করে প্রচুর লোক ভিড় করে দোকানের সামনে। ভিড় চলে আসে রাস্তার ওপর। প্রায় ২৫০০ বিরিয়ানির প্য়াকেট রেডি ছিল। কিন্তু ৫০০ প্লেট বিক্রি হতেই পুলিশ খবর পেয়ে ছুটে আসে। তাদের কাছে খবর ছিল, বিরিয়ানিপ্রেমীদের ব্যাপক জনসমাগমের জেরে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম হয়েছে। পুলিশ জনতাকে তাড়া করে হটিয়ে দেয়। জাকিরের দোকানের বাইরে দুজন পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়। জাকিরকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
যদিও এক পুলিশ অফিসার নিজে উদ্যোগ নিয়ে বাকি বিরিয়ানির প্যাকেট এলাকার গরিব, দুঃস্থ, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের বিলি করেন।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ (সরকারি কর্মচারীর জারি করা আদেশ অমান্য করা, ২৬৯ (জীবন বিপন্ন করে ফেলার মতো রোগ ছড়াতে পারে, এমন উদাসীন আচরণ করা), ২৭৮ (স্বাস্থ্যের ক্ষতি করার পরিবেশ সৃষ্টি করা) ধারায় ও মহামারী আইন, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। জাকিরকে অতিমারির মধ্যে ভবিষ্যতে যেন এরকম গিমিক না দেখান, এই হুঁশিয়ারি দিয়ে আপাততঃ জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।