নয়া দিল্লি: মর্মান্তিক ঘটনায় মুহূর্তে সব শেষ। চোখের পলকেই ঘটে যায় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে গিয়েছিল স্কুল বাস। ঘটনাস্থলেই তিন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এরই মধ্যে ভাগ্যের জোরে প্রাণে বেঁচেছে এক ছাত্র। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকেও। এরই মধ্যে রেলের তরফে বলা হয়েছে এই ঘটনার জন্য দায়ী লেভেল ক্রসিংয়ের প্রহরী। তাঁর ভুলেই এই বিপদ ঘটেছে। যদিও প্রশ্ন তোলা হয়েছে স্কুল বাসের ড্রাইভারের বিরুদ্ধেও।                                   

তবে সূত্রের খবর, প্রাণে বেঁচে যাওয়া ছাত্র যে বয়ান দিয়েছে তা চাঞ্চল্যকর। এবিপি নাড়ু-তে প্রকাশিত এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া ছাত্র বিশ্বেশের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছে, যখন আমাদের বাড়ি থেকে তুলে চেমাঙ্গুপ্পামের কাছে রেললাইন পার করছিল স্কুল বাস, তখন রেল গেট বন্ধ ছিল না। খোলা ছিল ওই গেট। তাই আমাদের ড্রাইভার বুঝতে পারেননি যে কোনও ট্রেন আসতে পারে। কোনও সিগন্যাল ছিল না। ট্রেন আসার কোনও শব্দ ছিল না। হর্নের কোনও শব্দ ছিল না।                       

এই বয়ানের পর প্রশ্ন উঠছে তাহলে গাফিলতি একাধিকের? ট্রেনের চালক থেকে রেলগেটের প্রহরী অথবা স্কুল বাসের ড্রাইভার, কার ভুলে এত বড় ঘটনা ঘটল? প্রাণ গেল শিশুগুলির? 

কী ঘটেছিল? 

মঙ্গলবার সকালে রেললাইন পার হওয়ার সময় স্কুলবাসে ধাক্কা ট্রেনের। এই ঘটনা তামিলনাড়ুর কুড্ডালোর জেলার। এদিন সকাল সাতটা নাগাদ ৫ জন পড়ুয়াকে নিয়ে সেমাঙ্গুপ্পামের কাছে একটি লেভেল ক্রসিং পার করছিল স্কুল বাসটি। সে সময়ই একটি ট্রেন এসে স্কুল বাসে ধাক্কা মারে। দ্রুত গতিতে আসা ট্রেনের ধাক্কায় প্রায় ৫০ মিটার দূরে ছিটকে যায় বাসটি। তাছাড়া দ্রুত গতির ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে বাসটি। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেল পুলিশ।                  

প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়, তাড়হুড়ো করে রেললাইন পেরোতে যাওয়াতেই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এদিকে লেভেল ক্রসিংয়ের প্রহরী ঘুমিয়ে পড়াতেই এমন দুর্ঘটনা বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। এই অবস্থায় রেলের উদাসীনতা নিয়েও সরব হয়েছেন অনেকে।