চেন্নাই: হিপোক্রেটিক ওথ-এর বদলে চরক শপথ। মাদুরাই মেডিক্যাল কলেজে প্রথম বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়াদের চরক শপথ ঘিরে শুরু বিতর্ক। গোটা ঘটনায় রিপোর্ট তলব তামিলনাড়ু সরকারের। চরক শপথের সময় উপস্থিত ছিলেন তামিলনাড়ুর অর্থমন্ত্রী।


কী ঘটনা:
মাদুরাই মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের সংস্কৃতে চরক শপথ পাঠ করানো হয়েছে। সাধারণত এই ক্ষেত্রে ইংরেজিতে হিপোক্রেটিক ওথ পড়ানো হয়। কিন্তু এবার চরক শপথ পড়ানো হয়েছে। তারপরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ওই সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তামিলনাড়ু সরকারের দুই মন্ত্রী। ছিলেন সে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী এবং করমন্ত্রী। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের চরক শপথ পাঠ করার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরেই বিতর্ক দানা বাঁধে। তারপরেই ওই মেডিক্যাল কলেজের ডিন এ রথিনাভেল (A Rathinavel)-কে সরিয়ে দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। সূত্রের খবর, যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাতে তাঁকে ওয়েটিং লিস্টে রাখা হয়েছেস নতুন কোনও পদ দেওয়া হয়নি। 


এর আগে বাংলাতেও:
দীর্ঘদিন ধরে হিপোক্রেটিক ওথ পড়ানোর চল রয়েছে দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরেই ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও প্রথম বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়াদের চরক শপথ নেওয়ানো হয়েছিল। ক্লাসের প্রথম দিনেই শপথ নেওয়ানো হয়েছিল। 


ঠিক কী নিয়ে সমস্যা ?
ডাক্তারি পাশ করার পর পড়ুয়াদের তাঁদের গ্র্যাজুয়েশনের দিনে নেওয়ানো হয়ে থাকে হিপোক্রেটিক ওথ’ (Hipocratic oath)। হিপোক্রেটাসের শপথবাক্য পাঠ করেই রোগী চিকিৎসায় ব্রতী হন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁদের দেওয়া হয়ে থাকে হোয়াইট কোটও। কিন্তু কিছুদিন আগে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের একটি গাইডলাইন ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। যেখানে প্রস্তাব নেওয়া হয়, এবার থেকে ভারতীয় চিকিৎসকরা পাশ করার পর হিপোক্রেটিক ওথের বদলে চরক শপথ নেবেন। চিকিৎসকদের একাংশ ও বিরোধীদের বক্তব্য ছিল কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে চিরাচরিত ধরণ-ধারণ পাল্টে নিজেদের মতো করে ভারতীয় ইতিহাসের প্রেক্ষাপট তৈরি করতে চাইছে, এই শপথবাক্য পাঠে বদলও তেমনই এক পদক্ষেপ। প্রায় একই অভিযোগ উঠেছে মাদুরাই মেডিক্যাল কলেজের ক্ষেত্রেও।  


আরও পড়ুন: এপ্রিলে জিএসটি আদায়ে সর্বকালীন রেকর্ড, অর্থনীতিতে জোয়ার?