নয়াদিল্লি: কাতর আর্জি জানিয়েছিলেন বার বার। একদিন আগে শেষ চেষ্টা করেছিলেন। অবশেষে সাড়া মিলল কেন্দ্রের তরফে। বর্ধিত সময়ের জন্য ভারতে থাকার অনুমতি পেলেন বাংলাদেশের সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন। ভারতে থাকতে প্রয়োজনীয়, তাঁর রেসিডেন্স পারমিট পুনর্নবীকরণ হয়েছে। এর জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানালেন তসলিমা। (Taslima Nasreen)


ভারতে থাকার অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়া নিয়ে লাগাতার কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়ে আসছিলেন তসলিমা। একদিন আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় শাহকে আর্জি জানান তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'অমিত শাহজি, আমি ভারতে থাকি কারণ এই মহান দেশকে ভালবাসি আমি। গত ২০ বছর ধরে ভারত আমার দ্বিতীয় বাড়ি। কিন্তু গত ২২ জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আমার বসবাসের অনুমতিপত্রের মেয়াদ বাড়ায়নি। আমি খুব চিন্তিত। আমাকে থাকতে দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ'। (Amit Shah)


এর পরই, মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শাহকে ধন্যবাদ জানান তসলিমা। লেখেন, 'অমিত শাহ, দুনিয়ার সব ধন্যবাদ আপনাকে'। শাহের উদ্যোগে তাঁর ভারতে থাকার অনুমতিপত্রের মেয়াদ বর্ধিত করা হয়েছে কি না যদিও খোলসা করেননি তসলিমা। তবে, একদিন আগে জরুরি ভিত্তিতে তাঁর ওই আবেদন এবং তার পর দিনই শাহকে ধন্যবাদজ্ঞাপন, ইতিবাচক ইঙ্গিতই দিচ্ছে।




গত তিন দশক ধরে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেন না তসলিমা। কট্টরপন্থী ইসলামিদের ভয়ে দেশছাড়া তিনি. ১৯৯৩ সালে তসলিমার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি হয় সেখানে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে আসার পর সেখানে ক্ষমতায় রয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস। তাঁর সরকার এবং সেনার বিরুদ্ধে কট্টরপন্থী ইসলামিরা ফের মাথা তুলেছে। জামাত-ই-ইসলামি বাংলাদেশের উপর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিশানা করে হামলার খবর উঠে আসছে লাগাতার।


সেই আবহেই ভারতে থাকার অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন তসলিমা। পাশাপাশি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। যেভাবে ক্ষমতায় আসীন হয়েছে ইউনূস সরকার, তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তসলিমা। জানিয়েছেন, হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেননি। তাই ইউনূসের সরকার বেআইনি বলে অভিযোগ তসলিমার।