নয়া দিল্লি: ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের বাড়িতে হানা দিয়ে রেকর্ড অর্থ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। ১৯৪.৪৫ কোটির টাকার বেশি নগদ, ২৩ কেজি সোনা এবং আন্ডারগ্রাউন্ডে লুকিয়ে রাখা ৬০০ কেজি চন্দন তেল উদ্ধার করেছে। প্রথম দিনে যখন তার বাড়িতে ডিজিজিআই হানা দেয় সেই সময় পীযূষ বাড়ি ছেড়ে চম্পট দেয়, এমনটাই সূত্রের খবর। রবিবারই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সোমবার  কানপুর আদালত তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। 


পীযূষ জৈনের উত্তরপ্রদেশের কনৌজের বাড়ি এবং ওডকেম ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানায় হানা দেয় আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা ৷ সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, কনৌজে জৈনের কারখানায় ডিজিজিআই এবং স্থানীয় কেন্দ্রীয় জিএসটি বিভাগের আধিকারিকরা অভিযান চালিয়ে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ বাজেয়াপ্ত করে। নথিভুক্ত না হওয়া চন্দন কাঠ থেকে তৈরি তেল এবং কোটি কোটি টাকার সুগন্ধি জৈনের কারখানা থেকে বাজেয়াপ্ত করেছে ডিজিজিআই ৷ অভিযোগ এই সব দ্রব্যের কোনও বৈধ নথি ছিল না ব্যবসায়ীর কাছে।



সিজিএসটি’র ধারা ৬৭-তে কর ফাঁকি ও বেহিসেবি সম্পত্তি রাখার অপরাধে পারফিউম ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনকে গ্রেফতার করল আমেদাবাদের ডিরেক্টর জেনারেল অফ জিএসটি ইন্টেলিজেন্স। কনৌজে তল্লাশির সময়, আধিকারিকরা প্রায় ১৭ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে, জানিয়েছে, সংবাদ সংস্থা এএনআই। এছাড়াও, ভূগর্ভস্থ স্টোরে লুকিয়ে রাখা ৬০০ কেজিরও বেশি চন্দন তেল সহ সুগন্ধি যৌগ তৈরিতে ব্যবহৃত দ্রব্য এবং প্রায় ২৩ কেজি সোনা এবং বিপুল পরিমাণ বেহিসাবহীন কাঁচামাল উদ্ধার করা হয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা।


স্থানীয়রা জানিয়েছেন পীযূষ জৈনের বাবা ছিল একজন রসায়নবিদ। তাঁর কাছ থেকেই সুগন্ধী প্রস্তুত করতে শিখেছিল পীযূষ। পাশাপাশি ভোজ্য এসেন্স তৈরির করার শিল্পেও হাত বাড়িয়েছিল। গত ১৫ ধরে ফুলেফেঁপে উঠেছে তার ব্যবসা। 


যদিও পীযূষ জৈন দাবি করেছেন এই টাকা "তাঁর আত্মীয় এবং ভাইদের"। জৈনের আত্মীয়দের কেউ তার দাবি মেনে নিতে এগিয়ে আসেনি। জৈনের ভাইরাও পীযূষ জৈনের দাবি অস্বীকার করেছেন। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “আমরা এত বিপুল অর্থের উৎস জানতে চাই। কেন এত বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল, এই নগদ কোথায় ব্যবহার করার কথা ছিল, কোথা থেকে এই নগদ এসেছে।"