হায়দরাবাদ: নয়া সচিবালয় কমপ্লেক্সে একটি মন্দির, একটি গির্জা, দুটি মসসিদ গড়বে তেলঙ্গানা সরকার। মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দপ্তর প্রকাশিত সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে আসন্ন বিধান পরিষদ অধিবেশন শেষেই নতুন সচিবালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, পুরানো সচিবালয় ভবন ভাঙার সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মন্দির, দুটি মসজিদ সরকারি খরচে পুনর্নির্মাণ করা হবে। যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা, পরিষেবার বন্দোবস্ত সমেত ধর্মস্থান তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের তরফেও দাবি ওঠায় নতুন সচিবালয়ে সরকার একটি গির্জাও তৈরি করবে।
এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি আবার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি পেশ করে মসজিদ গড়ার দাবি জানিয়েছেন। রাজ্য সরকার আন্তর্জাতিক মানের ইসলামিক কেন্দ্র তৈরি করবে, সেজন্য জমিও বরাদ্দ হয়েছে। যদিও কোভিড-১৯ সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাজ শুরু হতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। খুব শীঘ্রই জোর গতিতে কাজ শুরু হবে।
প্রস্তাবিত দুটি মসজিদ তৈরি হবে একেকটি ৭৫০ বর্গফুট জমির ওপর। সেখানে থাকবে ইমামদের কোয়ার্টার। মন্দির তৈরি হবে ১৫০০ বর্গফুট জমিতে। গত জুলাইয়ে পুরানো সচিবালয় ভাঙার সময় ধর্মস্থানগুলির ক্ষতি হওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, বলেছেন, নতুনগুলি তৈরি হবে আরও বড় জায়গা নিয়ে।
এদিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তেলঙ্গানা শাখা মুখ্য়মন্ত্রীকে লেখা খোলা চিঠিতে দাবি করেছেন, সরকার পুরানো সচিবালয় ভাঙার সময় মন্দিরের ক্ষতি হওয়া নিয়ে স্পষ্ট বিবৃতি দিয়ে জানাক, কী ঘটেছে, ধর্মস্থান ‘ধ্বংস করার’ জন্য দোষী লোকজনের বিরুদ্ধেও ব্য়বস্থা নিক। তাদের আরও দাবি, মন্দির তৈরির ব্যাপারে সরকার ধর্মীয় নেতা, পূজারী, স্বামীজী ও হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনগুলিকে নিয়ে বৈঠক করুক, নয়তো মন্দির গড়তে করসেবা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে পরিষদ।