হায়দরাবাদ: মোবাইলের চার্জারে হাত লেগে মর্মান্তিক মৃত্যু যুবকের। বিছানার পাশে চার্জার লাগিয়ে শুয়েছিলেন। ঘুমের ঘোরে সেই চার্জারে হাত লেগে যায়। তাতেই নাকি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ওই যুবক। সঙ্গে সঙ্গে হাসপতাাল নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেকেই বিছানার পাশে মোবাইলের চার্জার লাগিয়ে রাতে ঘুমান। তাই এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। (Mobile Charger Electrocution)


শুক্রবার এই ঘটনা ঘটেছে তেলঙ্গানায়। মৃত যুবকের নাম মালোথ অনিল। তাঁর বাড়িতে বিছানার পাশেই সকেট রয়েছে। মোবাইল ফোনের চার্জের তাতে লাগিয়ে রাতে ঘুমাতে যান তিনি। ভেবেছিলেন ফোন দেখতে দেখতে ব্যাটারি ফুরিয়ে এলে চার্জে বসিয়ে দেবেন। সেই ভাবেই ঘুমিয়ে পড়েন অনিল। (Telangana Charger Death Incident)


পরিবার সূত্রে খবর, রাতে ঘুমের ঘোরে ওই সকেটে লাগানো মোবাইল ফোনের চার্জারে হাত পড়ে যায় অনিলের।  বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। পরিবারের লোকজন মিলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যান তাঁকে। কিন্তু সেখান থেকে সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় অনিলকে। সুসজ্জিত সরকারি হাসপাতালে অনিলের সঠিক চিকিৎসা হবে বলে মনে করা হয়েছিল। 


সেই মতো সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনিলকে। কিন্তু চিকিৎসকদের চেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অনিল। জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে বিয়ে করেন অনিল। স্ত্রী ও দেড় বছরের এক কন্যা রয়েছে তাঁর। কী থেকে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাড়ির লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 


তবে এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটল না। এর আগে, গত রবিবারই তেলঙ্গানারই খাম্মাম জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান ৪০ বছর বয়সি এক ব্যক্তি। পোষ্যকে স্নান করাবেন বলে জল গরম করছিলেন। জল বসিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। হিটারের রডে হাত পড়ে মারা যান। একই ভাবে মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে গিয়ে মারা যান জি নরেশ নামের আর এক যুবক। চার্জে বসানো অবস্থায় মোবাইল হাতে নিয়ে দেখছিলেন তিনি। সেই অবস্থায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।


চলতি বছরের গোড়ায় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে উত্তরপ্রদেশের মেরঠে। চার ভাইবোন এক ঘরে শুয়েছিল। সেই ঘরের সকেটেই ঝুলছিল মোবাইলের চার্জার। মোবাইলের চার্জারে আগুন লাগলে শর্ট সার্কিট হয়ে যায়। তাতে পুড়ে যায় চার শিশু। হাসপাতালে নিয়ে গেলে একে একে চার জনেরই মৃত্যু হয়। রাতের বেলা বিছানায় মোবাইল ফোন, চার্জার নিয়ে ঘুমাতে যাওয়া নিয়ে বার বার তাই সতর্কও করেন অনেকে।