হায়দরাবাদ : অর্ডার দিলেও চিকেন বিরিয়ানিতে লেগ পিস পাঠায়নি কোম্পানি। ফুড ডেলিভারি সার্ভিসের ওপর বিরক্ত হয়ে সরসারি মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানালেন গ্রাহক। যা দেখে হকচকিয়ে গেলেন মন্ত্রীও। সম্প্রতি এমনই বিরল ঘটনার সাক্ষী থেকেছে ট্যুইটার। যেখানে তেলাঙ্গানার মন্ত্রী কেটিআর-কে ট্যাগ করেন এক জোম্যাটো ক্লায়েন্ট। 


কোভিডকালে হাসপাতালের বেড, অক্সিজেন এমনকী ওষুধের জন্য বার বার রাজ্যবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তেলেঙ্গানাবাসী সমস্যায় পড়লেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে্ই সমাধান দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী কে তারকা রামা রাও (কেটিআর)। ট্যুইটারে তাঁকে ট্যাগ করলেই মুশকিল আসান হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন আধিকারিকরা। যদিও শুক্রবারের ঘটনা চমকে দিয়েছে খোদ মন্ত্রীকেও। খাবারে কেন লেগ পিস নেই তা নিয়ে কেউ মন্ত্রীকে ট্যাগ করতে পারেন , কস্মিনকালেও এই ধারণা ছিল না কেটিআর-এর।


ঠিক কী হয়েছিল সেদিন ? ট্যুইটার নোটস বলছে, চিকেন বিরিয়ানির ছবি দিয়ে সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে তথা রাজ্যের মন্ত্রীকে ট্যাগ করেছিলেন এক জোম্যাটো ক্লায়েন্ট। সেখানে তিনি লেখেন, বেশি মশলা দেওয়া চিকেন বিরিয়ানির সঙ্গে এক্সট্রা একটা চিকেন পিস অর্ডার দিয়েছিলাম। কিন্তু ফুড ডেলিভারির তরফে সেটা পাঠানো হয়নি। 


যদিও অভিযোগকারীর এই ট্যুইট দেখেও রাগেননি কেটিআর। পাল্টা ট্যুইটে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, কেন আমাকে এই পোস্টে ট্যাগ করা হয়েছে ভাই ? এ বিষয়ে আমার কী করা উচিত বলে আপনি প্রত্যাশা করেন ? ইমোজির সঙ্গে এই রিপ্লাই দেন মন্ত্রী। এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ছেলের এই উত্তরের পরই বিভিন্নজন মন্তব্য করেছেন ট্যুইটারে। অনেকেই মন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন।


কোভিডকালে অভিযোগকারীর এই বক্তব্যকে ভাল চোখে দেখছেন না অনেকেই। সবারই এক কথা, রাজ্যে কোভিড চেইন ব্রেক করতে রাতদিন কাজ করে চলেছে সরকার। সেই সময় চিকেন বিরিয়ানির লেগ পিসের জন্য মন্ত্রীকে ট্যুইট করা উচিত হয়নি ওই ব্যক্তির। যেখানে রাজ্যের ইনফরমেশন টেকনোলজি, নগর উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলান কেটিআর।