নয়াদিল্লি: ৫জি নেটওয়ার্ক করোনা সংক্রমণের অন্যতম কারণ। গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়ছে। এবার এই নিয়ে বিবৃতি জারি করল সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া। যা ভারতীয় টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম অঙ্গ। বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেছে ৫জি নেটওয়ার্ক থেকে করোনা সংক্রমণের খবর একেবারেই গুজব।


টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থার নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া সহ বেশ কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে ৫জি প্রযুক্তির মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। এই বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে বলেও জানিয়েছে নিয়ামক সংস্থা। বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেছে, “আমরা প্রত্যেককে জানাতে চাই, এটা নিছক গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, এই ধরনের খবরে কান দেবেন না।“


সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া ডিরেক্টর জেনারেল এস পি কোচার বলেন, বিশ্বের বহু দেশ ৫ জি নেটওয়ার্কের সুবিধা পাচ্ছে। এই পরিষেবা কোনওরকম সমস্যা ছাড়াই সংশ্লিষ্ট দেশের সাধারণ মানুষ ব্যবহার করছেন। এমন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ এবং ৫ জি প্রযুক্তির মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা গোটা বিষয়টি টেলি যোগাযোগ মন্ত্রককে জানিয়েছি। সাধারণ মানুষের কাছে আমার আবেদন গুজব সম্পর্কে সজাগ থাকুন। ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে আমরা একসঙ্গে লড়াই করতে পারব।


সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৫ জি ট্রায়াল শুরু হয়নি। এমনকী ৫জি টাওয়ারও নেই। নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, টেলি পরিষেবা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান মাধ্যম। বিশেষত বর্তমান সময়ে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম, অনলাইন ক্লাস, অনলাইনে চিকিৎসা পরিষেবাও মিলছে টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমেই। কোনও নির্দিষ্ট সময়ে


অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা মোকাবিলায় অন্ধ বিশ্বাস এবং ভুয়ো তথ্য থেকে সতর্ক থাকতে বলেছে। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, রেডিওর তরঙ্গ, মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যম করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে না। মানুষের জীবনে ৫জি নেটওয়ার্কের প্রভাব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, তারহীন কোনও প্রযুক্তি মানুষের স্বাস্থ্য়ের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন তথ্য নেই।