নয়াদিল্লি: একজনের থেকে আরেকজনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে দুজনের মধ্যে ন্যূনতম ৬ ফুটের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে বলে সুপারিশ করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
কিন্তু, সম্প্রতি এক গবেষণায় যা তথ্য উঠে এসেছে, তাতে এতদিনের সব ধারণা ও হিসেব-নিকেশ উল্টে যাওয়ার জোগাড়। সিমুলেশনের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, কাশি থেকে নির্গত আণবিক কণা হাওয়ায় ভেসে যেতে পারে ১২ ফুট!
ফ্লোরিডা অতলান্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণায় ম্যানেকিন ব্যবহার করে দেখা হয়েছে, কীভাবে ভারী ও হাল্কা কাশির সময় ভাসমান জলকণা মুখ থেকে বেরিয়ে কতদূর যেতে পারে।
লেজার রশ্মির মাধ্যমে দেখানো হয়েছে গ্যাস ও ভাসমান কণা কীভাবে হাওয়ায় চলতে পারে। গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রায় ১ মিনিটের মতো দীর্ঘ সময় ধরে কণাগুলি হাওয়ায় ভেসে থাকতে পারে।
গবেষকদের দাবি, এই কারণে, বড় বড় শহরে এত দ্রুতহারে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। কাশির সময় যে হাওয়া নির্গত হয়, তা খালি চোখে দেখা যায় না। তার মধ্যে থাকা অতিক্ষুদ্র ভাসমান কণাকেও দেখা যায় না।
হাঁচি বা কাশির সময় যে জলকণা বা অন্য কণা নির্গত হয়,তার আয়তন ৫ থেকে ৫০০ মাইক্রন। বড় কণা, যা বলা হচ্ছে সার্স-সিওভি২ -এর প্রধান উৎস, বেশিদূর যেতে পারে না।
কিন্তু, হাল্কা কণা (মূলত এরোসল) অনেকদূর চলতে পারে ভেসে ভেসে। এগুলির আয়তন ৫ মাইক্রন বা তার কম।