ব্যাঙ্কক: শহর থেকে দূরে গ্রাম ছাড়িয়ে মাটির পথে হাঁটা দিয়েছেন থাইল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা। শখ করে নয়। ছোট পাহাড়ের অন্ধকার গুহা থেকে বাদুড় ধরে আনার জন্য তাঁদের এই প্রয়াস। এই বাদুড়দের নিয়ে গবেষণা করেই করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে সম্যক ধারণা তৈরি করা যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। ব্যাঙ্ককের পশ্চিম প্রান্তে কাঞ্ছানবুড়ি প্রদেশের সাইইয়োক ন্যাশনাল পার্কে পাহাড়ের গুহার কাছে অপেক্ষা করে আছেন জীববিজ্ঞানীরা। কয়েকটা বাদুড় এসে পড়েছে দেখলেই তাদের ধরে ব্যাগে পুরছেন। নানা প্রজাতির গড়ে ২০০টি করে বাদুড় এখানে বসবাস করে বলে জানা যাচ্ছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই দেখেছেন যে সম্ভবত বাদুর-ই বয়ে এনেছে এই মারাত্মক ভাইরাস,যার প্রভাবে বিশ্বে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দু কোটি মানুষ। মারা গিয়েছেন প্রায় লাখ দশেক।
দক্ষিণ চিনের ইউনান প্রদেশে খোঁজও মিলেছে এমন এক ধরনের বাদুড়ের যারা করোনাভাইরাসের বাহক বলে মনে করছেন গবেষকরা। তাইল্যান্ডে হর্স-সু বাদুড়ের ১৯টি প্রজাতির বাস। এদেরকে একবার পরীক্ষা করে দেখতে চাইছেন গবেষকরা, যদি কোনও সূত্র মেলে। বাদুড়দের ধরে ল্যাবরেটরিতে এনে তাদের স্যালাইভা আর রক্তের নমুনা গ্রহণ করা হবে। তার ভিত্তিতে পরীক্ষা করা হবে ডিজিজ হেলথ সেন্টারে। সেখানকার প্রধান সুপাপরন ওয়াছাড়াপ্লুয়েসেডে গত ২০ বছর ধরে বাদুড় নিয়েই গবেষণা করে আসছেন। সামগ্রিক গবেষণায় বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন তিনি।তাঁর মতে, যেহেতু এটা বাদুড়-বাহী রোগ, তাই সারা বিশ্বের কোনও একটি দেশের সীমানায় এটা বাধা পড়ার সম্ভাবনা নেই, সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার কথা। আর সেটাই ঘটেছে।