চেন্নাই: পদপিষ্ট হয়ে ৪১ জনের মৃত্যুতে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপ চলছেই। সেই আবহে প্রথম বার ভিডিও বার্তা প্রকাশ করলেন অভিনেতা তথা রাজনীতিক ‘থলপতি’ বিজয়। তাঁর জনসভাকে ঘিরে যে অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসছে, সেই নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করলেন না যদিও। বরং সরাসরি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনকে নিশানা করলেন তিনি। প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অভিযোগ তুললেন। (Tamil Nadu Stampede)
শনিবার তামিলনাড়ুর কারুরে বিজয়ের জনসভায় পদপিষ্ট হয়ে এখনও পর্যন্ত ৪১ জন মারা গিয়েছেন। তার পর মঙ্গলবার ভিডিও-বার্তা প্রকাশ করলেন বিজয়। তাঁর বক্তব্য, “জীবনে এমন যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি আমি। মনে অসম্ভব যন্ত্রণা। যন্ত্রণা ছাড়া আর কোনও অনুভূতি নেই। জনসভায় আমাকে দেখতে এসেছিলেন মানুষজন। মানুষের ভালবাসা, স্নেহ পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ। নিরাপত্তায় যাতে কোনও খামতি না থাকে, তার জন্য় রাজনীতি সরিয়ে রেখে নিরাপদ স্থান বেছে নিয়েছিলাম, অনুরোধ জানিয়েছিলাম পুলিশকে। কিন্তু যা হওয়া উচিত ছিল না, ঠিক তা-ই হয়েছে।” (Thalapathy Vijay)
বিজয় আরও বলেন, “আমিও মানুষ। এত মানুষ যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের ছেড়ে চলে এলাম কী করে? ফের কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই জন্যই যাইনি আমি।”
কারুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই একাধিক এফআইআর দায়ের হয়েছে। বিজয়ের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার মামলা দায়ের হয়েছে যেমন, তেমনই জন নিরাপত্তা নিয়ে ছেলেখেলার অভিযোগ উঠেছে। বিজয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ছিলেন তিনি। ভিড় বাড়াতে ইচ্ছাকৃত ভাবে দেরিতে সভাস্থলে পৌঁছন তিনি। বিজয় যদিও ষড়যন্ত্রের অভিযোগই তুলেছেন। তাঁর কথায়, “পাঁচটি জেলায় প্রচার করেছি। কারুরেই কেন এমন ঘটল? কেন ঘটল এমন ঘটনা? মানুষ জানেন সত্যিটা কী। মানুষ সব দেখছেন। মুখ্যমন্ত্রী স্যর, প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে হলে, আমার উপর করুন। আমার নেতাদের গায়ে হাত দেবেন না। বাড়িতে বা অফিসে পেয়ে যাবেন আমাকে। আমার সঙ্গে যা ইচ্ছে করুন।”
বিজয় এবং তাঁর দলের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে। যদিও বিজয়ের বক্তব্য, “আমরা কোনও অন্যায় করিনি। ভুল করিনি কোনও। তাসত্ত্বেও দলের নেতা, বন্ধু, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হচ্ছে। সত্য শীঘ্রই বেরিয়ে আসবে।”