বাঁকুড়া: নভেম্বরে অমিত শাহ তাঁর বাড়িতে দুপুরে খেয়েছিলেন। তাঁর বাড়ি থেকেই শস্য সংগ্রহ করে কৃষক সুরক্ষা যাত্রা কর্মসূচির সূচনা করল বিজেপি। বাঁকুড়ার সেই আদিবাসী কৃষক বিভীষণ হাঁসদা। তাঁর বাড়ি থেকে শস্য সংগ্রহ করে কর্মসূচির শুরু করল জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।  পুরোটাই বিজেপির নাটক আক্রমণ শাণিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।


বাঁকুড়ার চতুরডিহি গ্রামের বাসিন্দা, বিভীষণ হাঁসদা। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে, তাঁর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন অমিত শাহ। দু’দিনের মধ্যে, তৃণমূলের তরফে, আদিবাসী সম্প্রদায়ের এই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় চাল-ডাল, জামাকাপড়, টাকা। সেই বিভীষণ হাঁসদার বাড়ি থেকে শস্য সংগ্রহ করে এবার বাঁকুড়ায় শুরু হল বিজেপির কৃষক সুরক্ষা যাত্রা।


সোমবার চতুরডিহি গ্রাম থেকে কর্মসূচির সূচনা করে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বিভীষণ হাঁসদা বলেন, আত্মীয় বাড়িতে এলে যেভাবে আপ্যায়ন করি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকেও সেভাবেই আপ্যায়ন করেছি। এদিন বিজেপি নেতারা ফের আমার বাড়িতে এসেছিলেন, চাষবাস নিয়ে খোঁজ খবর নিলেন। আমি কৃষক আইনের পক্ষে।


জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিত্‍ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই কর্মসূচি বিভীষণ হাঁসদার বাড়ি থেকে শুরু হলো। এবার এই কর্মসূচি সারা জেলা জুড়েই চলবে। তৃণমূল চোরের দল। বিজেপির কর্মসূচিকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। জেলার তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা  পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, ওনারা যে চাল ভিক্ষা নিচ্ছেন তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া। কৃষক মেরে যতোই এবার নাটক করুক ২০২১ এ মানুষ বুঝিয়ে দেবেন তারা তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন।


গত শনিবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থেকে ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ কর্মসূচি শুরু করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগত্‍প্রকাশ নাড্ডা। মূস্থলী গ্রামে ৫ কৃষক পরিবারের থেকে শস্য সংগ্রহ করেন তিনি। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, এই কর্মসূচি অনুযায়ী, ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যের ৪০ হাজার গ্রামে গিয়ে কৃষক পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন বিজেপি কর্মীরা। কৃষকদের থেকে এক মুঠো চাল সংগ্রহ করবেন। বদলে মানুষকে ন্যায় দেওয়ার সংকল্প করবেন। এরপর ২৪ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত, হবে কৃষক ভোজ।