কলকাতা: জুনিয়র মৃধা খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে। সিবিআই সূত্রে এমনটাই দাবি। আগামীকাল জুনিয়রের বাবা, মায়ের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা ধৃত প্রিয়ঙ্কা চৌধুরীকে। ইতিমধ্যে ধৃত প্রিয়ঙ্কা চৌধুরীর গাড়ির এক চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এদিকে প্রিয়ঙ্কার অসঙ্গতিপূর্ণ বলে দাবি সিবিআইয়ের।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে চালক জানিয়েছেন, ঘটনার দিন একটা পার্টিতে যাচ্ছিলেন প্রিয়ঙ্কা ও তাঁর স্বামী। গাড়িতে ঘন ঘন প্রিয়ঙ্কার কাছে ফোন আসে। কারও সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় প্রিয়ঙ্কার। কার সঙ্গে সেদিন প্রিয়ঙ্কার ফোনে কথা হয় তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। এ নিয়ে প্রিয়ঙ্কার বয়ান অসঙ্গতিপূর্ণ বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। তদন্তে সিবিআই জেনেছে, ঘটনার দিন রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে সল্টলেকে পিএনবির কাছে জুনিয়র মৃধাকে মোটরবাইকে যেতে দেখা গিয়েছিল। একাধিক সিসিটিভি ফুটেজে তা ধরা পড়েছে। তবে তাঁকে ফিরতে দেখা যায়নি। সিবিআই সূত্রে খবর, এই বিষয়ে সিআইডি-র সঙ্গে কথা বলবে তারা। প্রয়োজনে বিধাননগর ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গেও কথা বলা হবে।
ঠিক কী কারণে খুন হন জুনিয়র? বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের? না কি খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে? সিবিআই সূত্রে দাবি, এখনও তা পরিষ্কার নয়। ধৃতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই এগোচ্ছেন গোয়েন্দারা। এই প্রেক্ষাপটে আগামীকাল মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা।
জুনিয়রের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে মাঝেমধ্যেই স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হত প্রিয়াঙ্কার। এমনটাই দাবি ধৃতের প্রাক্তন জা নিরজিতা চৌধুরীর। বলেন, পরিবারের পার্টি ছিল ওই দিন, দেরি করে এসেছিল প্রিয়ঙ্কা, আপসেট ছিল। তিনি যোগ করেন, আমাকে সিবিআই চার বার জিজ্ঞেসাবাদ করেছে, যা যা জানতে চেয়েছে সব জানিয়েছি। সিবিআই সূত্রে খবর, খুনের দিন রাত ৯টা ২০মিনিটে জুনিয়রের সঙ্গে ফোনে কথা হয় প্রিয়াঙ্কার। ধৃতের ফোন থেকে আরও দু'জনের নাম পেয়েছেন গোয়েন্দারা। ওই দু'জনের মধ্যে একজন টালিগঞ্জের প্রযোজক।