নাইপিডো: মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কাই সত্যি হল। ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি-র নেত্রী আং সান সু চি-সহ বেশ কয়েকজন শাসক-নেতাকে আজ ভোরে বাড়ি থেকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। মায়ানমারের সরকারি গণমাধ্যমে সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।

সূত্রের খবর এক বছরের জন্য দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সেনাবাহিনী। এদিন সম্ভাব্য সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন দল এনএলডি। রাজধানী নাইপিডো সহ দেশের সমস্ত বড় শহরগুলিতে টহল দিচ্ছে সেনা। টেলিফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় আং সান সু চি-র নেতৃত্বাধীন এনএলডি। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তোলে সেনাবাহিনী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করা হয়। সোমবার শাসক দলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, নির্বাচন নিয়ে সরকার এবং সেনার মধ্যে মত পার্থক্য তৈরি হয়। তার জেরেই এই ঘটনা বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যদিও মায়ানমারে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান নয়। এক দশক আগে সেনা শাসন ছিল সেদেশে। প্রায় ৫০ বছর মিলিটারি শাসন ছিল দেশে। গত বছর নভেম্বর মাসে সংসদ নির্বাচন হয় দেশে। শাসক দল এনএলডি-র বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। বিপুল ভোটে জেতে এনএলডি। নব নির্বাচিত সরকারের আজই প্রথম সংসদ অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি-র নেত্রী আং সান সু চি-সহ  প্রথম সারির নেতারা।

মায়ানমারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া-সহ বেশ কয়েকটি দেশ। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা শুধু ভারতের প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরের বিষয় নয়। বরং এই ঘটনা প্রভাবে ফেলবে ভারতের বিদেশনীতির সুরক্ষা এবং কূটনীতিতে। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি-র মুখপাত্র মায়ো নান্ট বলেন সু কি এবং সভাপতি ভিন মিন্টকে আটক করা হয়েছে। দেশবাসীকে বলচে চাই, তাড়াহুড়ো করবেন না। আইন মেনে কাজ হবে। তিনি নিজেও আটক হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হতে পারে। কিন্তু এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি সেনার মুখপাত্র। যাদের আটক করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে একজন দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বলে জানিয়েছেন, এনএলডির এক সংসদ।