মালিনি অইসোলা, এসপি কারান্ত্রী, টি জেকব জনের মতো জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মন্ত্রকরা চিঠি লিখেছেন। ঘটনার তদন্ত করার আবদেন জানিয়েছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, টিকা উৎপাদেনর সময় বা প্রয়োগে অন্য সময় ত্রুটি থাকলে তাও সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, জেলা এবং স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলছেন টিকার কারণে মৃত্যু হয়নি। যদিও এই বিষয়ে কোনও রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। এই মৃত্যুর তদন্ত করা উচিত। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা উচিত। এই বিষয়ে হু-এর গাইডলাইন মনে রাখতে হবে। কারণ ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকাকরণের পর দুই বা ততোধিক মৃ্ত্যু হলে তদন্ত করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনে স্পষ্টভাবে তা উল্লেখ করা আছে।
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। আর তা শুরু হওয়ার পর একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। শুধু তাই নয়, মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ফের এক স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে শনিবার। এবার ঘটনা তেলেঙ্গানার। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ৩ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ওই স্বাস্থ্যকর্মীর বয়স ৫৫ বছর। তেলঙ্গানার মানচেরিয়াল জেলার কাসিপেত গ্রামের বাসিন্দা তিনি। গত ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে শুরু হয় টিকাকরণ। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি কাশিপেত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিন নেন তিনি।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর শাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার তাঁকে ভর্তি করা হয় মানচেরিয়ালের মেডিলাইফ হাসপাতালে। পরে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় নিজামস ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে। গতকাল ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। তেলঙ্গানার স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, কো-মর্বিডিটির জন্য মৃত্যু হয়েছে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর। এর সঙ্গে টিকাকরণের কোনও সম্পর্ক নেই। তারা জনিয়েছে, কো-মর্বিডিটির জন্য হৃদযন্ত্র বিকল হয়। আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর। এর আগে নির্মল এবং ওয়ারিঙ্গাল জেলায় মৃত্যু হয়েছে দুই স্বাস্থ্যকর্মীর।