আমদাবাদ: আইপিএলে তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক ছিলেন। তবে শাহরুখ খানের দলের হয়ে প্রত্যাশাপূরণে ব্যর্থ হন। ত্রয়োদশ আইপিএলের মাঝপথে নেতৃত্ব থেকে সরেও দাঁড়ান। তাঁর পরিবর্তে কেকেআরের অধিনায়ক হন অইন মর্গ্যান।


তবে টি-টোয়েন্টি বড় সম্মান জিতে নিলেন সেই দীনেশ কার্তিক। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতে তাঁরই নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হল তামিলনাড়ু। রবিবার ফাইনালে সাত উইকেটে কার্তিকরা হারিয়ে দিলেন বঢোদরাকে।

টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেন কার্তিক। বঢোদরার দুই সেরা তারকা, হার্দিক ও ক্রুণাল পাণ্ড্য ছিলেন না। ক্রুণালের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে এই মরসুমের জন্য নির্বাসিত দীপক হুডাও খেলেননি। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে তাই শুরু থেকেই সমস্যায় ছিল বঢোদরা। তামিলনাড়ুর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে বঢোদরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২০ রান তুলতে সক্ষম হয় বঢোদরা। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোরার বিষ্ণু সোলাঙ্কি। ৫৫ বলে ৪৯ রান করেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল একটি চার ও দুটি ছক্কা। এছাড়া অতীত শেঠ ৩০ বলে ২৯ রান করেন। তামিলনাড়ু বোলারদের মধ্যে সেরা এম সিদ্ধার্থ। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। এম মহম্মদ, বাবা অপরাজিত ও সোনু যাদব একটি করে উইকেট নেন।



জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২ ওভার বাকি থাকতে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তামিলনাড়ু। ওপেনার সি হরি নিশান্ত ৩৮ বলে ৩৫ রান করেন। বাবা অপরাজিত ৩৫ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক কার্তিক মাত্র ১৬ বলে ২২ রান করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৩টি বাউন্ডারি। এম সিদ্ধার্ত ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠবার চ্যাম্পিয়ন হল তামিলনাড়ু। গত মরসুমে ফাইনালে কর্নাটকের কাছে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এবার ট্রফি নিয়েই ফিরলেন কার্তিকরা।