কৃষকদের সমর্থন জানিয়ে বিনোদন দুনিয়ার সর্বশেষ তারকা এই পেশাদার কুস্তিগীর হিন্দিতে বিবৃতিতে বলেছেন, ওরা ২ টাকায় ফসল কিনে ২০০ টাকায় বেচবে। এইসব আইনে দিনমজুর, রাস্তার পাশের দোকানদারদেরও ক্ষতি হবে, ভুগবেন সাধারণ মানুষও। আমি সবাইকে বলব, কৃষকদের দাবিগুলি যাতে কেন্দ্র মানতে বাধ্য হয়, সেজন্য তাঁদের পাশে থাকুন। হরিয়ানা, পঞ্জাবের কৃষকদের সামলানো কেন্দ্রের পক্ষে কঠিন হবে বলেও মন্তব্য করেন খালি।
সিধু মুসওয়ালা, বাব্বু মানের মতো পঞ্জাবি শিল্পীরা সমর্থন করছেন চাষিদের। কানওয়ার গ্রেওয়াল, হরফ চিমার মতো গায়করা দিল্লি সীমান্তে কৃষক সমাবেশে সামিল হয়েছেন। গায়ক জশবীর জসসিও আন্দোলন সমর্থন করেছেন। গোটা উত্তর ভারতে তিনি জনপ্রিয়।
জলকামান, লাঠি, কাঁদানে গ্যাসের মুখেও বুক চিতিয়ে লড়ছেন চাষিরা। রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ভার কেন্দ্রের সরকারের। তারা প্রথম কৃষকদের নয়াদিল্লিতে ঢোকার অনুমতি দেয়নি, তবে পরে জানায়, প্রতিবাদী কৃষকরা আউটার দিল্লির বুরারির ময়দানে বসে আন্দোলন করুন। যদিও অধিকাংশ কৃষকই তাতে কর্ণপাত না করে দিল্লি সীমান্তেই অবস্থানে বসে পড়েন। যানজট তৈরি হয়। কৃষকদের প্রতিনিধিরা দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র তোমার, পীযূষ গয়ালের সঙ্গে। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে দেওয়া দাবিদাওয়া খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন কৃষক নেতারা। পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা আগামীকাল। কেন্দ্রের দাবি, নয়া কৃষি আইনে চাষিরা নির্ধারিত মান্ডির বাইরেও দর কষাকষি করে নিজেদের কৃষিপণ্য বিক্রির স্বাধীনতা পাবেন, এতে দালালরাজ খতম হবে। কিন্তু কৃষকদের ভয়, এতে বৃহত্ কর্পোরেট সংস্থার শোষণের মুখে পড়ে অসহায় অবস্থা হবে তাঁদের।