লন্ডন: দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নতুন স্ট্রেন। সংক্রমণের আবহে ফের লকডাউন ঘোষণা করল ব্রিটেন। গতকাল রাত থেকে ফের সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।


জনসন বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রাথমিক পর্ব থেকে আমাদের হাসপাতালগুলি প্রচন্ড চাপের মধ্যে কাজ করছে। ইতিমধ্যেই একাধিক দেশ নানা বিধি আরোপ করেছে। এটা স্পষ্ট যে আমাদের সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, যাতে ভাইরাসকে রোধ করা যায়।  এই পরিস্থিতিত মোকাবিলার একমাত্র পথ লকডাউন জারি করা। ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে এটাই অন্যতম পথ হতে পারে। প্রত্যেককে বাড়িতে থাকার অনুরোধ করেছে সরকার।

সংবাদ মাধ্যমে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকে বন্ধ থাকবে সব স্কুল। নির্দেশ মেনে খুলবে বাজার-দোকান। তাঁর কথায়, টিকা দেওয়ার কাজ যখন চলছে, তখন নতুন স্ট্রেনের ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণে আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। ইংল্যান্ডে আমাদের জাতীয় লকডাউনের পথে হাঁটতে হবে। এই লকডাউন চলতে পারে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। গত এক সপ্তাহে দেশে মৃত্যু ২০ শতাংশ বেড়েছে এবং বাড়তেই থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জনসন।


সারা বিশ্বের মধ্যে দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু সংখ্যার নিরিখে ষষ্ঠ স্থানে আছে ব্রিটেন। পাল্টা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যাও।  ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তা অত্যন্ত দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে। অন্যদিকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে টিকাকরণের অনুমোদন দিয়েছে ব্রিটেন। সূত্রের খবর, যতজনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে, তার থেকে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডে অনুমোদন দেয়  জনসনের সরকার। কিডনির সমস্যা আছে,এমন এক রোগীকে সোমবার ভ্য়াকসিন দেওয়া হয়।


জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে ব্রিটেনে গত ২৮ দিনে ৭৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ হাজার, ৭৮৪ জন।  উল্লেখ্য গত বছর থেকে এখনও লকডাউন জারি রাখা হয়েছে স্কটল্যান্ডে। গত বছর বসন্ত কালে লকডাউন জারি করা হয় সেদেশে। ১৮ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত অনলাইন পঠনপাঠন চলবে বলে জানানো হয়।

ব্রিটেনের বাকি দুই অঙ্গরাজ্য ওয়েলস ও নর্দার্ন আয়ারল্য়ান্ডে আগে থেকেই বহাল রয়েছে লকডাউন। আরেক প্রদেশ স্কটল্য়ান্ডও সোমবার লকডাউনের রাস্তায় হাঁটার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।