নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস কি বদলে দেবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, সামাজিক রীতিনীতির যাবতীয় চেনা ছবি? ভাইরাস বিদায় নেওয়ার পর কি সব কিছু আবার আগের মতো  হবে না? এমন সম্ভাবনারই আভাস দিয়ে গেল কানপুরের গুরুদ্বারে অনুষ্ঠিত একটি বিয়ে, যেখানে পাত্রপাত্রী মাস্ক, মুখঢাকা বর্ম পরে মালাবদল করলেন।

পাত্র গরভিত নারাং, পাত্রী অদিতি শাইলি। লকডাউনের মধ্যেই কেন বিয়ে? গরভিত বলছেন, বিয়ের দিন আগে থেকেই ঠিক ছিল। তাই সেইদিনেই যাতে বিয়েটা হয়, সেজন্য কানপুরের জেলাশাসক ব্রহ্ম দেব রাম তেওয়ারি, এসএসপি আনন্দ দেব তেওয়ারির সাহায্য চাই।

বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য গোটা মন্ডপ, এমনকী ফুল, মালাও  স্যানিটাইজ করা হয়। প্রত্যেকে সামাজিক দূরত্ববিধি পালন করেন, মাস্ক, মুখঢাকা বর্ম পরে হাজির হন বলে জানান তিনি। সেইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, এমন একটা সময়, যখন অনেক কিছুরই বাজারচড়া দাম, তখন কম খরচে বিয়ে সারাটা ভাল ব্যাপার।

আর পাত্রী বলছেন, কখনও ভাবিনি, লকডাউনে বিয়ে করতে হবে। তবে ভালই লাগছে।

পাত্রের বোন রিচা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে বলে জানিয়েছেন। মন্ত্রকের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, বিয়েশাদির অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি লোকের হাজির থাকা চলবে না। রিচা বলেন, সামাজিক দূরত্ববিধি পালনের জন্য দুই পরিবারের মাত্র ৫ জন করে শারীরিক ভাবে বিয়ের আসরে  ছিলেন, বাকিরা ভার্চুয়াল বা অনলাইনে বিয়ের অনুষ্ঠান দেখেন।