নয়া দিল্লি: অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহে রামলালার (Ramlala) কোন মূর্তিটি বসবে, তা চূড়ান্ত করল শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট। কর্ণাটকের বিখ্যাত ভাস্কর অরুণ যোগীরাজের (Arun Yogiraj) তৈরি রামলালার মূর্তিতেই প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হবে। কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী পোস্টে লেখেন, যেখানে রাম, সেখানেই হনুমান। অযোধ্যায় ভগবান রামের প্রাণপ্রতিষ্ঠার জন্য মূর্তি নির্বাচন চূড়ান্ত হয়েছে। আমাদের দেশের বিখ্যাত ভাস্কর, আমাদের গর্ব শ্রী অরুণ যোগীরাজের খোদাই করা ভগবান রামের মূর্তিটি অযোধ্যায় স্থাপন করা হবে। এটি রাম হনুমানের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের আরও একটি উদাহরণ। কর্ণাটক তো হনুমানেরই দেশ। 


অরুণ যোগীরাজ কে? 


অরুণ যোগীরাজ কর্ণাটকের মহীশূর শহরের বাসিন্দা। তিনি বিখ্যাত ভাস্করদের একটি পরিবার থেকে এসেছেন। তার পাঁচ প্রজন্ম মূর্তি খোদাইয়ের কাজ করে আসছে। অরুণ দেশের অন্যতম বিখ্যাত ভাস্কর। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অরুণের খোদাই করা মূর্তির চাহিদা রয়েছে। অরুণের প্রতিভার প্রশংসা করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের দক্ষতা ব্যবহার করে অরুণ অনেক ভাস্কর্য তৈরি করেছেন।                                                                             


অরুণের বাবা যোগীরাজও একজন চমৎকার ভাস্কর। তাঁর পিতামহ বাসভন্ন শিল্পী মহীশূরের রাজার সুরক্ষায় ছিলেন। অরুণ যোগীরাজও ছোটবেলা থেকেই ভাস্কর্যের কাজের সঙ্গে যুক্ত। এমবিএ শেষ করে কিছুদিন একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিও করেন। তবে বেশিক্ষণ নিজের মধ্যে থাকা শিল্পীসত্ত্বাকে লুকিয়ে রাখতে পারেননি। ২০০৮ সালে তার ভাস্কর্য শিল্প দিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করেছিলেন তিনি।  


আরও পড়ুন, অযোধ্যার মন্দিরে রামলাল্লার পাশে কেন থাকবেন না সীতা? 


এর আগে কর্ণাটকের ভাস্কর্যশিল্পী অরুণ যোগীরাজ নতুন দিল্লির কর্তব্যপথে স্থাপিত ৩০ ফুটের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি তৈরি করেন। এ ছাড়া, ২ ফুটের একটি নেতাজি মূর্তি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। শুধু নেতাজির মূর্তি নয়, ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ কেদারনাথে তৈরি করেছেন আদি শঙ্করাচার্যের ১২ ফুটের একটি মূর্তি এবং মহীশূরে হনুমানের ২১ ফুটের মূর্তি নির্মাণ করেছেন। 


রামলালার মূর্তি বাড়িতে মা-কেও দেখাননি অরুণ যোগীরাজ। তাঁর মা বলেন, 'এটা আমাদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। যখন ওঁকে প্রতিমা তৈরি করতে দেখি তখন সেই মূর্তি একবার দেখতে চেয়েছিলাম। তখন ছেলে বলেছিল পরে আমাকে মন্দিরে নিয়ে গিয়েই দেখাবে তার আগে নয়। আমি প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন অযোধ্যায় যাব। প্রায় ৬ মাস হল ও অযোধ্যায় আছে। আমার ছেলের উন্নতি ও সাফল্য দেখে আমি খুশি।' 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে