নয়াদিল্লি: একে দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে, তার ওপর নয়া উপদ্রব, ঘুসঘুসে সর্দি কাশি। এমনিতে কেউ হেঁচে বা কেশে ফেললে লোকে সন্দেহের চোখে তাকাচ্ছে, অথচ এই সর্দি কাশি আপনাকে যেমন অস্বস্তিতে ফেলছে, তেমন নিজের মনেই তৈরি করছে প্রশ্ন, করোনার লক্ষণ না তো? তাই দেখে নিন, ঋতু পরিবর্তনের সর্দি কাশি হলে কী করলে তৎক্ষণাৎ আরাম পাবেন আপনি।


গরম পড়ি পড়ি করেও পড়ছে না। ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে শুকনো কাশি আর সর্দি। কিন্তু জানেন কি, এই সর্দি জ্বর শরীরে জমে থাকা শ্লেষ্মা আর দূষিত জিনিসপত্র বার করে দিতে সাহায্য করে? অবশ্য শুকনো কাশির ব্যাপারটা আলাদা, এতে দূষিত জিনিসপত্র শরীর থেকে বার হয় না, উল্টে গলাব্যথা শুরু হয়। আবার বাতাসে ধুলোবালির কারণেও হয় শুকনো কাশি। চতুর্দিকে লকডাউন শুরু হচ্ছে, ঘরে বসে কীভাবে সুস্থ করবেন নিজেকে? জেনে নিন।

১. গরম জল খান। শরীরের মেটাবলিজম রেট বাড়ে এতে। আর সহজেই সারিয়ে দেয় শুকনো কাশি। দিনে তিনবার গরম জল খান, কাশি প্রায় সেরে যাবে। সঙ্গে একটু নুন দিয়ে গার্গল করে দেখুন না।

২. খানিকটা পিপুল গাছের ছাল নিন। টুকরো করে মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। কদিনের মধ্যে সেরে যাবে শুকনো কাশি।

৩. আধ চামচ পেঁয়াজের রসে ছোট চামচের ১ চামচ মধু মিশিয়ে দিনে দু’বার করে খান।

৪. খেয়ে ফেলুন গরম গরম এক কাপ আদা চা। আদায় অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়া ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ আছে।

৫. মধু শুকনো কাশির মহৌষধ। এক চামচ মধুর সঙ্গে আদার রস মিশিয়ে দিনে একবার করে খান। কাশি অবশ্যই সেরে যাবে।

৬. তুলসী পাতার রস করে তাতে মধু আর আদার রস মিশিয়ে দিনে দু’বার করে খান। কাশি সেরে যাবে।

৭. গরম জলের ভাপ নিলে দ্রুত কষ্ট লাঘব হবে। দিনে যে কোনও সময় এটা করতে পারেন।

৮. যষ্টিমধুও রেহাই দেয় শুকনো কাশি থেকে। ২ বড় চামচ যষ্টিমধুর শুকনো মূল একটি মগে রেখে তাতে গরম জল ঢালুন। দিনে দু’বার ভাপ নিন ১০-১৫ মিনিট করে।

৯. দেশি ঘিয়ে ভেজে নিন গোলমরিচের গুঁড়ো। তারপর খেয়ে ফেলুন। এতে খুব দ্রুত সেরে যায় কাশি।

১০. এক গ্লাস দুধে আধ চামচ হলুদ মিশিয়ে রোজ খান।

১১. এক কাপ জলে ২-৩ কোয়া রসুন ফেলে গরম করুন। একটু ঠাণ্ডা করে মধু মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন।

এছাড়া ভিটামিন সি ভরপুর খাবার বেশ করে খান। এতে কাশি থেকে লড়ার ইমিউনিটি শরীরে বেশি করে জোগান দেয়। সাধারণ কাশি ঘরোয়া জিনিসপত্র, ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করলে ৮-১০ দিনে সেরে যায়। কিন্তু ২-৩ সপ্তাহেও কাশি না সারলে রোগ জটিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তখন অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান।

<iframe src="https://cdn.abplive.com/corona-html/index.html" width="640" height="180"></iframe>